বিরাট কোহালির চমক চলছেই! গুজরাত লায়ন্সের বিরুদ্ধে সে দিন সেঞ্চুরিটায় ওর প্রতিভার আলোই আবার ঝলসে উঠল। কোহালির এই ইনিংসটা থেকে অনেক কিছু শেখারও আছে। নিখুঁত ক্রিকেটীয় শট খেলেও যে ২০ ওভারে সেঞ্চুরি করা যায় বিরাট সেটা আগেও দেখিয়েছে, ফের দেখাল। তবে বিরাটের অসাধারণ ইনিংসটার পরও কিন্তু ওর দল বেঙ্গালুরুর সেটা কাজে লাগল না। বোলিংয়ে বৈচিত্র আর গভীরতার অভাবই বেঙ্গালুরুকে পিছিয়ে দিল ম্যাচটায়। যে কাঁটাটা ওদের দলে রয়েই যাচ্ছে। সমস্যাটা ওরা কত ভাল ভাবে সামলাতে পারছে তার উপরই কিন্তু টুর্নামেন্টে ওদের এগিয়ে যাওয়া নির্ভর করবে।
টুর্নামেন্টে এখনও পর্যন্ত সেরা টিম কিন্তু কলকাতা। ওদের পরীক্ষিত ফর্মুলা মানে স্পিন এখনও কাজ করে যাচ্ছে। যদিও আমার মনে হয় সুনীল নারিন ছাড়া কলকাতার অন্য স্পিনারদের চাপে ফেলা যায়। তবে দলের ব্যালান্সটা এত ভাল, যে এই ব্যাপারটাই ওদের বারবার জিতিয়ে দিচ্ছে। শেষ ম্যাচটায় উথাপ্পা আর গম্ভীরের ব্যর্থতা সত্ত্বেও কিন্তু ব্যাটিংয়ে গভীরতা কলকাতাকে জেতাল। এতে আরও একটা বিষয় কিন্তু বোঝা যাচ্ছে। একটা সেট টিম ধরে রাখলে তার ফল এক দিন পাওয়া যাবেই।
সে দিন বেঙ্গালুরুকে যারা হারাল মানে গুজরাত টিমটা নতুন হলেও কিন্তু দলে ভাল বোঝাপড়া তৈরি হয়ে গিয়েছে। ওদের ব্যাটিং আর বোলিং ভালই দাঁড়িয়ে গিয়েছে আর দলে বেশ ভারসাম্য আছে। গুজরাতের মিডল অর্ডারে দীনেশ কার্তিকের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে দুর্দান্ত ব্যাটিংও করল কার্তিক। অনেক সময় অতিরিক্ত চাহিদা এক জন ক্রিকেটারকে ডুবিয়ে দিতে পারে। তবে কার্তিককে কিন্তু এই আইপিএলে খুব হাল্কা মেজাজে লাগছে। দলের ব্যালান্সটাও ওকে মেজাজে থাকতে সাহায্য করছে। শুরুতে ম্যাকালাম, ফিঞ্চ, আর পরে ব্র্যাভো, জাডেজা, ফকনারকে নিয়ে গুজরাত এমন একটা দল হয়ে উঠেছে যারা নিজেদের শক্তিগুলো সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করতে পারছে।
এই প্রসঙ্গে দিল্লির কথাও বলতে হয়। দলটাকে এখন অনেক উন্নত লাগছে। ওদের তরুণ আর কম বাজেটের প্লেয়ারদের দলে নেওয়ার নীতি কিন্তু টিমটাকে আরও খোলা মনে খেলার স্বাধীনতাটা দিচ্ছে। তবে দিল্লির সবচেয়ে বড় চ্যালে়ঞ্জ হল ওদের তরুণ ব্যাটিং লাইন আপের গোটা আইপিএলের চাপ নিতে পারা। বোলিংটা ওদের শক্তি। তাই আগের দিন কোটলায় খুব বেশি টার্গেট না রেখেও কিন্তু ওরা মুম্বইকে রান তাড়া করা থেকে রুখে দিতে পেরেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy