টাইগারকে হেঁটে দেখাতে বললেন পুলিশকর্মীরা। ছবি: ইউটিউবের সৌজন্যে।
এ কোন টাইগার উডস? এক কালের বিশ্বসেরা গল্ফার! ভিডিওটা দেখে চোখ কপালে উঠেছে গোটা দুনিয়ার।
বেসামাল অবস্থায় রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে টাইগার। এক পুলিশ কর্মী তাঁকে সাদা দাগ বরাবর পায়ে পায়ে এগিয়ে যেতে বলছেন। কিন্তু, টালমাটাল টাইগার কোনও ভাবেই এগোতে পারছেন না। পুলিশ কর্মীটি তাঁকে দেখিয়ে দিলেন, কী ভাবে হাঁটতে হবে। কিন্তু, তার পরেও টাইগার একই রকম। শর্টস পরে, খালি পায়ে, কোনও ভাবেই এগোতে পারছেন না। পরে যদিও কোনও রকমে টলমল পায়ে তিনি এগিয়েছেন কিছুটা।
এখানেই শেষ নয়। পুলিশকর্মীরা তাঁকে ১ থেকে ১০ পর্যন্ত গুনতে বললেন। কিন্তু, সেই নির্দেশও শুনতে ভুল করেন টাইগার। পুলিশের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, তাঁকে শেষ থেকে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে বলা হয়েছে। এর পরেই গ্রেফতার করা হয় ওই গল্ফারকে। টাইগারকে গ্রেফতার করার আগের মুহূর্তের একটি ‘ড্যাশ ক্যাম’ ভিডিও ফুটেজ সম্প্রতি প্রকাশ্যে এনেছে ফ্লোরিডা পুলিশ। সেখানেই দেখা গিয়েছে এই ছবি।
দেখুন সেই ভিডিও
তবে, এই ঘটনা একটা জিনিস চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। সেটা পুলিশের ভূমিকা। নিয়ম ভাঙার কারণে সেখানকার পুলিশ তত্পরতার সঙ্গে যে ব্যবস্থা নিয়েছে, তা এ দেশে বিরল। যিনি নিয়ম ভাঙছেন, তিনি সাধারণ নাগরিক নাকি সেলিব্রিটি— তা বিচার্য বিষয় হয় না। টাইগারকে গ্রেফতারের ঘটনা তা বুঝিয়ে দিয়েছে। কিন্তু, এ দেশে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তেমনটা হয় না। সম্প্রতি এই শহরেই বেপরোয়া গাড়ি চালানোর সময় বিক্রম চট্টোপাধ্যায় নামে এক অভিনেতার গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। অভিযোগ ওঠে, তিনি মদ্যপান করেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। ওই ঘটনায় সোনিকা সিংহ চৌহান নামে এক মডেলের মৃত্যু হয়। তিনি ওই গাড়ির সামনের আসনে বসে ছিলেন। কিন্তু, পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তে ঢিলেমির অভিযোগ ওঠে।
আরও পড়ুন: মদ্যপান করে গাড়ি চালানোর অপরাধে গ্রেফতার টাইগার, পরে জামিন
গত ২৯ মে মদ খেয়ে গাড়ি চালানোর অপরাধে গ্রেফতার হয়েছিলেন টাইগার উডস। পুলিশ জানায়, ওই দিন সোমবার গভীর রাতে ফ্লোরিডার জুপিটারের রাস্তায় স্টিয়ারিং ধরা অবস্থাতেই প্রায় ঘুমিয়েই পড়েছিলেন টাইগার। গাড়ির কাচ বন্ধ ছিল। তাঁকে ডাকার পর উইন্ডো বাটন খুঁজতেও সমস্যা হচ্ছিল তাঁর। তখনই টাইগারকে আটক করে পুলিশ। পরে বেসামাল টাইগারকে গ্রেফতারও করা হয়। হাতকড়া পরানোর সময়ও কোনও হেলদোল লক্ষ্য করা যায়নি তাঁর মধ্যে। এর পর তাঁকে জেলেও নিয়ে যাওয়া হয়। পর দিন সকালে অবশ্য ছেড়ে দেওয়া হয় উডসকে।
পুলিশের কাছে উডস দাবি করেছিলেন, কিছু ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ওই রকম অবস্থা হয়েছিল। পুলিশ জানায়, থানায় নিয়ে যাওয়ার পরেও অত্যন্ত ধীর গতিতে প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন টাইগার। এই ঘটনার পর অবশ্য নিজের পরিবার ও ভক্তদের কাছ থেকে ক্ষমাও চেয়ে নেন টাইগার। আর কখনও এমনটা হবে না বলেও জানান টাইগার।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ‘ওমেগা দুবাই ডেজার্ট ক্লাসিক’ টুর্নামেন্টে থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর, এখনও পর্যন্ত আর কোনও প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্টে অংশ নেননি একাধিক মেজর জেতা এই গল্ফার। এই ঘটনাটির এক সপ্তাহ আগে একটি সাক্ষাত্কারে টাইগার বলেন, ‘‘আমি আবার প্রফেশনাল গল্ফে ফিরে আসতে চাই। তবে এখনই এর জন্য তাড়াহুড়ো করছি না। বর্তমানে আমার রিহ্যাব চলছে। ডাক্তারদের পরামর্শ মেনে ধীরে ধীরে এগোতে চাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy