গত বছর ২৯ ডিসেম্বর রাতে মারা যান পেলে। —ফাইল চিত্র
পেলের সম্পত্তির মাত্র ৩০ শতাংশ পাবেন তাঁর স্ত্রী মারসিয়া সিবেলা আওকি। তিনি পেলের তৃতীয় এবং শেষ স্ত্রী। মারা যাওয়ার আগে নিজের সম্পত্তির ভাগ লিখে দিয়ে গিয়েছিলেন ব্রাজিলের তারকা ফুটবলার। সেই অনুযায়ী ভাগ হবে সম্পত্তি। সেখানে উল্লেখ রয়েছে এক অপরিচিত মহিলার। মনে করা হচ্ছে তিনি পেলের মেয়ে। কিন্তু জীবিত অবস্থায় তাঁর কথা জানাননি পেলে।
মারসিয়ার আইনজীবী লুইজ কিগনেল জানিয়েছেন যে, তাঁর মক্কেল গুয়ারুজাতে একটি বিলাসবহুল বাড়ি পাবেন। সেখানেই পেলে এবং তাঁর স্ত্রী থাকতেন। সমুদ্রের ধারের সেই বাড়ি এখন তাঁর স্ত্রীর। গত বছর ডিসেম্বর মাসে মারা যান পেলে। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তাঁর পুরো সম্পত্তির পরিমাণ এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। স্ত্রীয়ের ৩০ শতাংশ বাদ দিয়ে বাকি ৭০ শতাংশ পাবেন পেলের সন্তানরা এবং এক অপরিচিত নারী। কিগনেল বলেন, “এক মেয়ের উল্লেখ রয়েছে। যদিও ডিএনএ পরীক্ষার পর সেটা প্রমাণিত হবে। পেলে জীবিত থাকার সময় সেটা করা সম্ভব হয়নি ফুটবলারের শারীরিক অবস্থার কারণে।”
এক ব্রাজিলীয় নারী নিজেকে পেলের মেয়ে হিসাবে পরিচয় দিয়েছেন। তিনি সেই দাবি করে আইনি ব্যবস্থাও নিয়েছেন। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে পেলেকে নিজের ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছিল। যা সম্ভব হয়নি। এখন পেলের সাত সন্তানের মধ্যে থেকে ডিএনএ নিয়ে পরীক্ষা করা হবে। তার পরেই সেই অপরিচিত নারীর পরিচয় সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।
গত বছর ২৯ ডিসেম্বর রাতে মারা যান পেলে। দীর্ঘ দিন ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। ২০২১ সাল থেকে অন্ত্রের ক্যানসারে আক্রান্ত পেলে। কাতার বিশ্বকাপের সময় শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ২৯ নভেম্বর তাঁকে সাও পাওলোর অ্যালবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তার পর আর বাড়ি ফেরা হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy