Advertisement
১৭ মে ২০২৪
ISL 2023-24

কড়া শাস্তি সাদিকুর, ক্লান্তি চিন্তা হাবাসের 

ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালের প্রথম পর্বের দ্বৈরথে ৬৭ মিনিটে লাল কার্ড (দ্বিতীয় হলুদ) দেখেছিলেন সাদিকু। রবিবার ওড়িশার বিরুদ্ধে ফিরতি ম্যাচেও খেলেননি তিনি।

আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাস।

আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাস। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ০৭:৫৩
Share: Save:

ওড়িশা এফসি-কে ২-০ গোলে হারিয়ে (দুই পর্ব মিলিয়ে ৩-২ জয়) টানা দ্বিতীয়বার আইএসএলের ফাইনালে ওঠার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই অস্বস্তি বাড়ল সবুজ-মেরুন শিবিরে। আগামী শনিবার যুবভারতীতে ত্রিমুকুট জয়ের স্বপ্নপূরণের ম্যাচেও আর্মান্দো সাদিকু-কে ছাড়াই দল গড়তে হবে আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাস-কে।

ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালের প্রথম পর্বের দ্বৈরথে ৬৭ মিনিটে লাল কার্ড (দ্বিতীয় হলুদ) দেখেছিলেন সাদিকু। রবিবার ওড়িশার বিরুদ্ধে ফিরতি ম্যাচেও খেলেননি তিনি। সোমবার সাদিকু-কে চার ম্যাচ নির্বাসিত করল সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি।

সাদিকু ছিটকে যাওয়ায় হতাশ হলেও পিছনে ফিরে তাকাতে চান না কোচ হিসেবে তৃতীয়বার আইএসএলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্নপূরণের একধাপ দূরে দাঁড়িয়ে থাকা হাবাস। বলেন, ‘‘দলের মানসিক শক্তি দুর্দান্ত বলেই এখানে পৌঁছেছি। ছেলেদের উপরে পূর্ণ আস্থা রয়েছে।’’ প্রথম পর্বে ওড়িশার কাছে ১-২ হারের পরে মোহনবাগানের ফাইনালে ওঠা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছিল। রবিবার যুবভারতীতে জেসন কামিংস ও সাহাল আব্দুল সামাদের যুগলবন্দিতে ওড়িশাকে ২-০ হারিয়ে ত্রিমুকুট জয়ের পথে আরও একধাপ এগিয়ে গিয়েছেন দিমিত্রি পেত্রাতস-রা। প্রত্যাবর্তনের রহস্য কী? হাবাস বলছিলেন, ‘‘ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে ছেলেদের বলেছিলাম, সবচেয়ে জরুরি হল ইচ্ছাশক্তি। যেন তার ঘাটতি না হয়। ওরা পুরো ম্যাচে সমান শক্তি ও উৎসাহ নিয়ে খেলেছে। পরিবর্ত হিসেবে যারা নেমেছে, তারাও একই রকম উদ্যম নিয়ে লড়াই করেছে। আমরা একটা দল হিসেবে খেলে ফাইনালে উঠেছি।’’ এ দিন সকালে যুবভারতীতে হাল্কা অনুশীলন (রিকভারি সেশন) করেন মনবীর সিংহ-রা। হাবাস জানালেন, টানা ম্যাচ খেলার ক্লান্তিই প্রধান চিন্তা তাঁর। এই কারণেই ফুটবলারদের এক দিন বিশ্রাম দিয়ে বুধবার থেকে ফাইনালে মুম্বই সিটি এফসি-কে হারানোর প্রস্তুতি শুরু করবেন তিনি।

রবিবার সাদিকু-র অভাব বুঝতেই দেননি জেসন কামিংস। ২২ মিনিটে গোল করে এগিয়ে দেন মোহনবাগানকে। বলছিলেন, ‘‘বিশ্বাস করি, আইএসএলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার যোগ্যতা আমাদের রয়েছে।’’ কামিংস উচ্ছ্বসিত ফাইনাল যুবভারতীতে হচ্ছে বলে। বলছিলেন, ‘‘নিজেদের সমর্থকদের সামনে খেলার অনুভূতিই আলাদা। ঘরের মাঠে বাড়তি সুবিধে পাব আমরা।’’ আর এক নায়ক সাহাল আব্দুল সামাদের কথায়, ‘‘সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে চলেছি আমরা। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াইয়ে জন্য তৈরি।’’

গত সপ্তাহেই আইএসএলের তরফে জানানো হয়, ফাইনালে যে দুই দল উঠবে, লিগ তালিকায় তাদের অবস্থানের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে ম্যাচের কেন্দ্র। অর্থাৎ, মোহনবাগান ফাইনালে উঠলে ম্যাচ হবে যুবভারতীতেই। কারণ, লিগ টেবলের শীর্ষ স্থানে শেষ করেছিলেন দিমিত্রি-রা। শনিবার দশম আইএসএলের ফাইনালে যুবভারতীতে থাকার সম্ভাবনা উজ্জ্বল নীতা অম্বানীর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE