বল দখলের লড়াই নন্দকুমার (বাঁ দিকে) এবং উদান্তার। ছবি: টুইটার।
ইস্টবেঙ্গল ১ (মহেশ)
গোয়া ২ (সন্দেশ, ভিক্টর)
স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইনের আমলে এগিয়ে গিয়ে ইস্টবেঙ্গলের হারা প্রায় অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল। কার্লেস কুয়াদ্রাতের সময়েও সেই রোগ পিছু ছাড়ছে না ইস্টবেঙ্গলের। শনিবার ভুবনেশ্বরের ‘হোম ম্যাচে’ এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে দু’মিনিটে দু’গোল হজম করে হেরে গেল ইস্টবেঙ্গল। গোয়ার কাছে তারা হারল ১-২ গোলে। ম্যাচের বেশির ভাগ সময়েই এগিয়ে ছিল ইস্টবেঙ্গল।
সপ্তমীর বিকেলে এই ম্যাচ থাকায় নিরাপত্তার কারণে ভুবনেশ্বরে ম্যাচ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পুজোর মধ্যেও সেখানে অনেক ইস্টবেঙ্গল সমর্থক লাল-হলুদ পতাকা নিয়ে হাজির ছিলেন। পরে ভিন রাজ্যের মাঠেও সমর্থনের অভাব ছিল না কুয়াদ্রাতের ছেলেদের। সেটাও কাজে লাগাতে পারলেন না তাঁরা। পুজোর মাঝে সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাতে ব্যর্থ ইস্টবেঙ্গল। ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠছে, যতই কোচ এবং ভাল ফুটবলার আসুক, অবস্থা এ বার আদৌ বদলাবে তো?
খেলার শুরুটা হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণ থেকেই। কিন্তু গোয়ার বক্সে ঢুকে খেই হারিয়ে ফেলছিল তারা। কোনও আক্রমণই দানা বাঁধছিল না। একটা খাপছাড়া ভাব লক্ষ করা যাচ্ছিল ইস্টবেঙ্গলের খেলায়। ৩২ মিনিটের মাথায় গোল করার সুযোগ পেয়েছিল গোয়া। কার্লোস মার্তিনেসের শট অল্পের জন্যে বাইরে যায়।
প্রথম গোলের জন্যে এর পর বেশি ক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি ইস্টবেঙ্গলকে। ডান দিক থেকে দৌড় শুরু করেছিলেন নন্দকুমার। বক্সের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়ে বল বাড়ান মাঝখানে। ক্লেটন সিলভা সামনে থাকলেও বল ধরেননি। শট মারার সুযোগ করে দেন নাওরেম মহেশের সামনে। চলতি বলে শট নিয়ে গোল করেন মহেশ।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হওয়ার পর থেকে গোয়ার আক্রমণই চোখে পড়ছিল বেশি। ব্রেন্ডন ফের্নান্দেস সক্রিয় ছিলেন উইংয়ে। তাঁকে সামলাতে সমস্যায় পড়ছিলেন ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারেরা। এ দিনও ইস্টবেঙ্গলের ফ্রিকিকে বৈচিত্র দেখা যায়। দুই ফুটবলার পাশাপাশি দাঁড়িয়ে ছিলেন। কে মারবেন তাই নিয়ে বিপক্ষ ফুটবলারদের ফাঁদে ফেলতে চাইছিলেন। দৌড়ে গিয়েও শট নিচ্ছিলেন না। কিন্তু সেই ফ্রিকিক কোনও গোল এনে দিতে পারেনি।
উল্টে সমতা ফেরায় গোয়া। ভিক্টর রদ্রিগেসের ফ্রিকিকে মাথা ছুঁইয়ে গোয়ার প্রথম গোল সন্দেশ জিঙ্ঘনের। পরের মিনিটে নিজেই গোল করেন ভিক্টর। এ বার মাঝমাঠ থেকে বল ছিনিয়ে নেন পাওলো রেত্রে। তিনি পাস দেন ভিক্টরকে। নিখুঁত ভাবে প্রভসুখন গিলকে এড়িয়ে গোল করেন ভিক্টর। পরে চেষ্টা করেও ম্যাচে ফিরতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy