বেলজিয়ামের গোলরক্ষক থিবো কুর্তোয়া। ছবি: রয়টার্স
চার বছর আগে রাশিয়া বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই আলোচনায় ছিল বেলজিয়াম দল। মাঠে নামতেও দেখা গেল তাদের নিয়ে চর্চা হওয়ার যথেষ্ট কারণ ছিল। একের পর এক বড় দলকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিল তারা। শেষ পর্যন্ত তৃতীয় স্থান পেয়েই খুশি থাকতে হয়েছিল কেভিন দে ব্রুইনদের। এ বছর পদকের রংটা বদলাতে চাইবেন তাঁরা। সেই লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামতে চলেছেন এডেন অ্যাজ়ার্ডরা।
সূচি
পরিকল্পনা
কোচ রোবের্তো মার্তিনেজ় দায়িত্ব নেন ২০১৬ সালে। ছ’বছর ধরে তাঁর প্রশিক্ষণেই খেলছে বেলজিয়াম। ৩-৪-৩ ফর্মেশনে খেলাতে পছন্দ করেন তিনি। গত বছর ব্রাজিলের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালে শুধু দলকে অন্য ফর্মেশনে খেলিয়েছিলেন মার্তিনেজ়। তাতে সাফল্যও পেয়েছিলেন। দলের ফুটবলাররাও তাঁর প্রশিক্ষণে খুশি। অ্যাজ়ার্ড এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “কোচ আমাদের সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ রাখেন। খেলোয়াড়দের সঙ্গে খুব ভাল সম্পর্ক ওর। একজন কোচের থেকে এটাই সকলে চায়। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক ফুটবলে যেখানে আমাদের সঙ্গে সব সময় কাজ করার সুযোগ পান না কোচ। উনি খুব কৌশলী, বড় সিদ্ধান্ত নিতে ভয় পান না। দারুণ কোচ।”
প্রধান ফুটবলার
বেলজিয়ামের মাঝমাঠে থাকবেন ব্রুইন। ম্যাঞ্চেস্টার সিটির এই তারকা ফুটবলারের দিকে নজর রাখতেই হবে। একার ক্ষমতায় ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারেন তিনি। সেই সঙ্গে আক্রমণে অ্যাজ়ার্ড এবং লুকাকু রয়েছেন। গোলরক্ষক থিবট কুর্তোয়াও বিশ্বের অন্যতম সেরাদের একজন। এই ফুটবলারদের শুধু দক্ষতা নয়, অভিজ্ঞতাও দলের কাছে বড় সম্পদ। সেই সঙ্গে ২১ বছরের তরুণ চার্লস দে কেটেলায়ের রয়েছেন। যিনি চেষ্টা করবেন এ বারের বিশ্বকাপে নিজেকে প্রমাণ করতে। ৬ ফিট ২ ইঞ্চি লম্বা এই তরুণ আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার বাকি দলের চিন্তার কারণ হয়ে উঠতে পারেন। গোলের সামনে লুকাকুদের সঙ্গে নজর রাখতে হবে তাঁর দিকেও।
বিশ্বকাপের ইতিহাস
১৯২০ সালে অলিম্পিক্সে সোনাজয়ী এই দেশ এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপ জেতেনি। ১৯৩০ থেকে ১৯৭০ সালের মধ্যে কখনও গ্রুপ পর্বই পার করতে পারেনি বেলজিয়াম। ১৯৮২ থেকে ২০০২ পর্যন্ত প্রতিটি বিশ্বকাপেই যোগ্যতা অর্জন করেছিল তারা। ১৯৮৬ সালে চতুর্থ স্থানে শেষ করে বেলজিয়াম। সেমিফাইনালে তারা হেরে গিয়েছিল দিয়েগো মারাদোনার আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে। সেটাই ছিল বিশ্বকাপে বেলজিয়ামের সেরা ফল। ২০১৮ সালে তৃতীয় স্থানে শেষ করে সেই ফলকে টপকে যায় বেলজিয়াম। ২০১৪ সালে কোয়ার্টার ফাইনালে হারে তারা। সে বারও তারা আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে হেরেছিল। ২০০৬ এবং ২০১০ সালে যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি বেলজিয়াম।
পুরো দল
গোলরক্ষক: থিবো কুর্তোয়া, সিমোন মিগনোলেট, কোয়েন কাস্তিলস।
ডিফেন্ডার: টবি অল্ডারওয়েরেল্ড, আর্থার তিয়েত, উইট ফায়েস, জান ভার্টোঙ্ঘেন, লিয়েন্ডার ডেনডোকার, জেনো দেবাস্ত।
মিডফিল্ডার: অ্যাক্সেল উইটসেল, কেভিন দ্য ব্রুইন, ইউরি তিয়েলেমান্স, থমাস মিউনিয়ের, থরগান অ্যাজার, আমাদৌ ওনানা, হান্স ভানাকেন, টিমোথি কাস্তাগনে।
স্ট্রাইকার: রোমেলু লুকাকু, এদেন অ্যাজার, ইয়ানিক কারাস্কো, ড্রিস মার্টেন্স, লিয়ান্দ্রো ট্রোসার্ড, দে কেতেলায়েরে, মিচি বাতশুয়াই, লোয়িস ওপেন্দা, জেরেমি ডোকু।
সম্ভাব্য একাদশ: (৩-৪-৩) থিবো কুর্তোয়া (গোলরক্ষক), লিয়েন্ডার ডেনডোকার, টবি অল্ডারওয়েরেল্ড, জান ভার্টোঙ্ঘেন, থমাস মিউনিয়ের, অ্যাক্সেল উইটসেল, ইউরি তিয়েলেমান্স, ইয়ানিক কারাস্কো, কেভিন দ্য ব্রুইন, এদেন অ্যাজার, রোমেলু লুকাকু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy