Advertisement
০১ নভেম্বর ২০২৪
FIFA World Cup 2022

কাতারে আবার হিসাব বিভ্রাট! ৬০ হাজারের স্টেডিয়ামে দর্শক ৮৮ হাজার, অথচ অর্ধেক আসন ফাঁকা

কাতার বিশ্বকাপ নিয়ে বিতর্ক কমছেই না। আরও এক বার দর্শকাসন নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। মাঠে যা দর্শকাসন তার থেকে বেশি দর্শক বসে খেলা দেখলেন। কী ভাবে সেটা সম্ভব? প্রশ্ন উঠছে।

আল বায়েত স্টেডিয়ামে মরক্কো বনাম ক্রোয়েশিয়া ম্যাচে এই ঘটনা ঘটেছে। বার বার বেশি দর্শক সংখ্যা দেখিয়ে বিতর্কে কাতার।

আল বায়েত স্টেডিয়ামে মরক্কো বনাম ক্রোয়েশিয়া ম্যাচে এই ঘটনা ঘটেছে। বার বার বেশি দর্শক সংখ্যা দেখিয়ে বিতর্কে কাতার। —ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২২ ১৯:০৭
Share: Save:

বার বার হিসাবের গেরোয় পড়ছে কাতার। আরও এক বার দর্শকাসনের থেকে বেশি দর্শক বসে খেলা দেখলেন মাঠে। অথচ মাঠের অর্ধেক আসন দেখা গেল ফাঁকা। বার বার কী ভাবে একই ঘটনা ঘটছে? ইচ্ছাকৃত ভাবেই কি এটা করছে কাতার! কিন্তু বার বার এই ঘটনা ঘটায় সমালোচনার মুখে পড়ছে কাতার।

এ বার বিতর্ক হয়েছে ক্রোয়েশিয়া বনাম মরক্কো ম্যাচে। আল বায়েত স্টেডিয়ামে ছিল খেলা। খেলা দেখতে যাওয়া নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক সাংবাদিক জানিয়েছেন, মাঠের প্রায় অর্ধেক দর্শকাসন ফাঁকা ছিল। কিন্তু স্টেডিয়ামে থাকা মরক্কো সমর্থকদের চিৎকারে সেটা বোঝা যাচ্ছিল না। ম্যাচের শেষ দিকে জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখায়, মাঠে ৮৮ হাজার ১২ জন দর্শক বসে খেলা দেখেছেন। অথচ আল বায়েত স্টেডিয়ামে ৬০ হাজার দর্শকাসন রয়েছে। দর্শকাসনের থেকে ২৮ হাজার বেশি দর্শক বসে খেলা দেখলেন মাঠে। কী ভাবে সেটা সম্ভব? বিশ্বকাপের আয়োজকরা অবশ্য এখনও এই বিষয়ে কিছু জানাননি।

ফিফার তরফে প্রতি ম্যাচে দর্শকদের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে আসনসংখ্যার থেকেও বেশি মানুষ খেলা দেখতে হাজির হয়েছেন। কিন্তু এর উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে ম্যাচের সময়। প্রচুর ছবি সমাজমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে ম্যাচের সময় দেখা যাচ্ছে অনেক আসন ফাঁকা। বিশ্বকাপের বহু আগে থেকেই সব ম্যাচের টিকিট নিয়ে হুড়োহুড়ি লেগেছিল। তা হলে ম্যাচের সময় লোক আসছেন না কেন? ফিফার তরফে কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি। উল্টে দর্শকসংখ্যার হিসাব পেশ করতে গিয়ে পাল্টা বিপাকে পড়েছে তারা।

ফিফার হিসাব অনুযায়ী, প্রথম ম্যাচ দেখতে হাজির হয়েছিলেন ৬৭,৩৭২ জন দর্শক। কিন্তু উদ্বোধনী ম্যাচের স্টেডিয়াম আল বায়েতের আসনসংখ্যাই ৬০ হাজার। যদি দু’দলের সমস্ত কর্মী এবং মাঠের কর্মীদেরও ধরা হয়, তা হলেও সেটা সাত হাজার বেশি হতে পারে না। তা ছাড়া, শুধুমাত্র দর্শকদেরই ধরা হয় এ ক্ষেত্রে। এখানেই শেষ নয়, ইংল্যান্ড বনাম ইরান ম্যাচের দর্শকসংখ্যা প্রকাশ করা হয়েছে ৪৫,৩৩৪। সেই মাঠের আসনসংখ্যা ৪০ হাজার। সেই ম্যাচেও প্রচুর ফাঁকা আসন দেখা গিয়েছে। কারণ টিকিটের অ্যাপ অচল হয়ে যাওয়ায় অনেকে মাঠে ঢুকতেই পারেননি। পরের দু’টি ম্যাচ, অর্থাৎ সেনেগাল-নেদারল্যান্ডস এবং আমেরিকা-ওয়েলসের ক্ষেত্রেও আসনসংখ্যার থেকে বেশি দর্শকের কথা বলা হয়েছে। সকলেরই প্রশ্ন, সমস্যাটা কোথায় হচ্ছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE