ফাইল চিত্র।
সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি পদে নির্বাচন অংশ নেওয়ার জন্য ভাইচুং ভুটিয়াকে অনুরোধ করছেন তাঁর সতীর্থরা। ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা অধিনায়ক নিজেও কি আগ্রহী?
ভারতীয় বোর্ডের প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ভাইচুং চান ফুটবল প্রশাসনের সর্বোচ্চ পদেও দীর্ঘ দিন জাতীয় দলে খেলা কোনও ফুটবলারই থাকুন। সোমবার সন্ধ্যায় সিকিম থেকে ফোনে তিনি বললেন, ‘‘আমি সব সময়ই চাই দেশের হয়ে দীর্ঘ দিন খেলেছে, এ রকম কোনও ফুটবলার ফেডারেশনের সভাপতি হোক। তা হলেই ভারতীয় ফুটবলের উন্নতি হবে।’’
ব্রুনো কুটিনহো, রেনেডি সিংহরা ভাইচুংকেই চাইছেন ফেডারেশনের পরবর্তী সভাপতি হিসেবে। ইতিমধ্যে তাঁকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। ভাইচুং নিজেও যে আগ্রহী, তা গোপন করেননি। বললেন, ‘‘আমার প্রাক্তন সতীর্থদের অনেকেই ফোন করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে। সত্যি কথা বলতে আমার কাছে পুরো বিষয়টা এখনও পরিষ্কার নয়। ফেডারেশনের সভাপতি পদে নির্বাচনে আদৌ লড়তে পারব কি না, জানি না। ওদেরও একই কথা বলেছি। নির্বাচন সংক্রান্ত পুরো বিষয়টা স্পষ্ট হলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব। এই মুহূর্তে কিছু বলা কঠিন। সব ঠিক থাকলে নির্বাচনে লড়তেও পারি।’’
ভাইচুংয়ের যদিও চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই। ফেডারেশনের সভাপতি পদে নির্বাচনে তিনি লড়াই করতেই পারেন। সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া তিন সদস্যের কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স (সিওএ)-র প্রস্তাবিত ফেডারেশনের নতুন গঠনতন্ত্রের খসড়া অনুযায়ী যে কেউ নির্বাচনে লড়াই করতে পারেন। এআইএফএফের কর্মসমিতিতে ৩৬ জন প্রাক্তন ফুটবলার রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে যে কেউ সভাপতি পদে লড়তে পারেন। আবার ফিফার নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্যের ফুটবল নিয়ামক সংস্থার মনোনিত কোনও প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। তাঁকে অন্তত চার বছর রাজ্য সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে। গত সাত-আট বছর ধরেই সিকিম ফুটবল সংস্থার টেকনিক্যাল ডিরেক্টর ও লিগ কমিটির চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন ভাইচুং। ফলে তাঁর ফেডারেশনের সভাপতি পদে নির্বাচনে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে কোনও সমস্যাই নেই। চব্বিশ ঘণ্টা আগেই ব্রুনো বলেছিলেন, ‘‘ভাইচুংয়ের মতো কোনও ফুটবলার যদি এআইএফএফের সভাপতি হয়, তা হলে সেটা দেশের ফুটবলারদের জন্য সবচেয়ে ভাল হবে।” রেনেডি বলেছিলেন, ‘‘আমি মনে করি, ভাইচুংয়ের অবশ্যই নির্বাচনে লড়াই করা উচিত। ভারতীয় ফুটবলে ওর অবদান প্রচুর। ভাইচুংয়ের মতো ব্যক্তিত্ব সভাপতি হলে দেশের ফুটবলাররা উপকৃত হবে। আশা করব প্রাক্তন ফুটবলাররা সকলেইওকে সমর্থন করবে।’’
এ দিকে, প্রত্যাশা মতোই রাজ্য সংস্থাগুলির তরফে গত ৩ অগস্ট বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি জেমবি পারদিওয়ালার ডিভিশন বেঞ্চের দেওয়া রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আর্জি জানাল সুপ্রিম কোর্টে। এই পরিস্থিতিতে ক্রমশ আশঙ্কা বাড়ছে ফিফা নির্বাসনের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy