ইগর স্তিমাচ। — ফাইল চিত্র
সাফ কাপে দু’টি ম্যাচে লাল কার্ড দেখার পর থেকেই ভারতীয় ফুটবল সংস্থার সঙ্গে (এআইএফএফ) কোচ ইগর স্তিমাচের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। ক্রোয়েশিয়ার কোচকে নিয়ে অনেকেই বিরক্ত। কেউ কেউ জানিয়ে দিয়েছেন, এশিয়ান কাপই স্তিমাচের আসল পরীক্ষা। সেখানে ব্যর্থ হলে চাকরি যাবে। তার পাল্টা স্তিমাচ বলে রেখেছেন, যথেষ্ট প্রস্তুতির সময় না পেলে ফলাফলের দায় তাঁর উপর বর্তাবে না। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আরও আগ্রাসী মেজাজে ধরা দিয়েছেন স্তিমাচ। জানিয়েছেন, চাকরির পরোয়া তিনি করেন না। কেউ না চাইলে তিনি ছেড়ে চলে যাবেন।
এক ওয়েবসাইটে স্তিমাচ বলেছেন, “আমার চুক্তিটা এমনই যে ৬০ দিনের নোটিস দিয়ে ছেড়ে চলে যেতে পারব। আমাকে কেউ আটকে রাখতে পারবে না। টাকার জন্যে এখানে চাকরি করতে আসিনি। আমরা কী করতে পারি সেটা দেখিয়ে দিয়েছি। ভারতীয় ফুটবল দলের ক্ষমতা এখন সবাই জানে। আমি নিজেও শুধু ফুটবলটাই জানি। কর্তাদের উচিত আমার ভাবনার সঙ্গে একমত হওয়া। সেটা এখনই ওঁদের করতে হবে।”
ক্রোয়েশিয়ার প্রাক্তন ফুটবলার এবং কোচ জানিয়েছেন, গত কয়েক বছরে অন্য অনেক প্রস্তাব পেয়েছেন। কিন্তু ভারতীয় দলের দুর্দান্ত পরিবেশের কারণে তিনি কোথাও যাননি। বলেছেন, “গত কয়েক বছরে অনেক প্রস্তাব পেয়েছি কোচিংয়ের। সেখানে টাকাও ভাল দিত। এখনকার থেকে অনেক বেশি টাকা রোজগার করতে পারতাম। কিন্তু এখানে একটা লক্ষ্য নিয়ে এসেছি। ভারতীয় ফুটবলের উন্নতি করাই আমার লক্ষ্য। সেটা করতে গেলে আমাদের আরও কয়েক ধাপ এগোতে হবে।”
কোচ হওয়ার পর তাঁকে টেনে ধরে নামানোর চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্তিমাচ। তাঁর কথায়, “আমি দায়িত্ব নেওয়ার সময় অনেকেই চায়নি সব কিছু ঠিকঠাক হোক। ভারতীয় ফুটবলের সাহায্যের জন্যে আমাকে আনা হলেও টেনে নীচে নামানোর চেষ্টা করা হয়েছে। ভারতকে এশিয়ার ফুটবলে শক্তি হয়ে উঠতে গেলে নির্দিষ্ট একটা পথ অনুসরণ করতে হবে। অনেক আত্মত্যাগ করতে হবে এবং আগামী চার বছর সবাইকে একসঙ্গে খেলতে হবে। না হলে আমি সোজা পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে বাড়ি চলে যাব।”
এই মুহূর্তে স্তিমাচ রয়েছেন ক্রোয়েশিয়ায়। সম্প্রতি তাঁর বাড়িতে দেখা করতে এসেছিলেন সে দেশের বিশ্বকাপার ফুটবলার লুকা মদ্রিচ। স্তিমাচের দুই ছেলের সঙ্গে ছবি তোলেন এবং জার্সিতে সই করে দেন মদ্রিচ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy