এই নিয়ে মোট সাত বার ফিফার বর্ষসেরার পুরস্কার পেলেন মেসি। ছবি: রয়টার্স
ফিফার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যা আশা করা হয়েছিল তাই হয়েছে। বছরের সেরা ফুটবলারের ট্রফি উঠেছে লিয়োনেল মেসির হাতেই। বিশ্বকাপজয়ী মেসি সেই পুরস্কার নিতে গিয়ে মনে করিয়ে দিয়েছেন, তিনি শুধু একজন ফুটবলারই নন, দায়িত্বশীল পিতাও। পুরস্কার মঞ্চে দাঁড়িয়ে মেসির ভাষণ ভাইরাল হয়েছে সঙ্গে সঙ্গে।
পুরস্কার হাতে বক্তৃতা করার সময় মেসি বলেন, “আমি সন্তানদের উদ্দেশে একটি চুম্বন দিতে চাই। ওরা নিশ্চয়ই এই পুরস্কার অনুষ্ঠান দেখছে। থিয়াগো, মাতেয়ো এবং সিরো, আমি তোমাদের খুব ভালবাসি। তবে এখন অনেক রাত হয়েছে। এ বার শুতে চলে যাও।” মেসির এই কথা শুনে গোটা হলভর্তি মানুষ হাসতে থাকেন। যাঁরা এই ভিডিয়ো দেখেছেন, তাঁরাও মজা পেয়েছেন।
চার বছর পর ফিফার এই পুরস্কার পেলেন মেসি। হারালেন করিম বেঞ্জেমা এবং কিলিয়ান এমবাপেকে। মেসি বলেছেন, “এখানে আবার আসতে পেরে ভাল লাগছে। বেঞ্জেমা এবং এমবাপেকেও অভিনন্দন। ওদের দু’জনের কাছেও দুর্দান্ত গিয়েছে বছরটা। এই সম্মান আমার কাছে বিশেষ। সব সতীর্থ এবং কোচ স্কালোনিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। ওদের জন্যে আজ আমরা এখানে।”
গত বছরের স্মৃতিচারণ করে মেসি বলেছেন, “দারুণ একটা বছর কেটেছে। অনেক লড়াইয়ের পর নিজের স্বপ্নপূরণ করেছি। আমার ফুটবল জীবনে বিশ্বকাপ জয় সবার উপরে থাকবে। অনেকেই বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন দেখে। পায় খুব কম লোকই।”
মেসি এই পুরস্কার জেতার ক্ষেত্রে ৫২ পয়েন্ট পেয়েছেন। এমবাপে পেয়েছেন ৪৪ পয়েন্ট। তৃতীয় স্থানে থাকা বেঞ্জেমার পয়েন্ট ৩৪। এর পর রয়েছেন লুকা মদ্রিচ (২৮), আর্লিং হালান্ড (২৪), সাদিয়ো মানে (১৯), জুলিয়ান আলভারেস (১৭), আশরাফ হাকিমি (১৫), নেমার (১৩), কেভিন দি ব্রুইন (১০), ভিনিসিয়াস জুনিয়র (১০), রবার্ট লেয়নডস্কি (৭), জুড বেলিংহ্যাম (৩), মহম্মদ সালাহ (২)।
Damas y caballeros, de pie. Lionel Messi , #TheBest.pic.twitter.com/r2kUqYW6YD
— VarskySports (@VarskySports) February 27, 2023
এই নিয়ে মোট সাত বার ফিফার বর্ষসেরার পুরস্কার পেলেন মেসি। ২০০৯, ২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৫, ২০১৯ সালের পর এ বার জিতলেন তিনি। ২০১৬ সাল থেকে ফিফা একক ভাবে এই পুরস্কার দিয়ে আসছে। তার আগে অন্য একটি সংস্থার সঙ্গে যৌথ ভাবে এই পুরস্কার দিত ফিফা।
বিশ্বকাপ ফাইনালে মেসির জোড়া গোল এবং এমবাপের হ্যাটট্রিকের সুবাদে ১২০ মিনিট পর্যন্ত খেলার ফল ছিল ৩-৩। টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনা ৪-২ গোলে হারায় ফ্রান্সকে। বিশ্বকাপের সেরা ফুটবলার হয়ে মেসি সোনার বল পান। তিনি মোট ৭টি গোল করেন। বেশ কিছু রেকর্ড ভেঙে দেন। এমবাপে ৮টা গোল করে প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ গোলদাতা হন এবং সোনার বুট জিতে নেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy