ত্রাতা: দলকে সমতায় ফিরিয়ে উল্লাস দ্য ব্রুইনের। মঙ্গলবার। ছবি: রয়টার্স।
লুকা মদ্রিচ বলছেন, আগামী সপ্তাহে এতিহাদের দ্বৈরথের ভবিষ্যৎ ৫০-৫০। পেপ গুয়ার্দিওলা মনে করছেন, ঘরের মাঠে তাঁর দলকে খেলতে হবে ‘ফাইনাল’।
মঙ্গলবার সান্তিয়াগো বের্নাবাউয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের প্রথম পর্বে রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যাঞ্চেস্টার সিটির খেলা ১-১ গোলে শেষ হওয়ার পরে ফুটবলমহলে শুরু হয়েছে চর্চা। দলের দুর্দান্ত গভীরতার নিরিখে ম্যান সিটিকে বিশ্লেষকেরা এগিয়ে রাখলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ইতিহাসে রিয়ালের ধারাবাহিকতা গলার কাঁটা হয়ে থাকছে ম্যান সিটি ভক্তদের কাছে।
মঙ্গলবার ম্যাচের ৩৬ মিনিটে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের অনবদ্য গোলে এগিয়ে গিয়েছিল রিয়াল। কিন্তু ৬৭ মিনিটে কেভিন দ্য ব্রুইনের গোলে স্বস্তি ফেরে ম্যান সিটি শিবিরে। বক্সের বাইরে থেকে নিচু শটে সমতা ফেরান দ্য ব্রুইন। রিয়ালের অবশ্য দাবি, এই গোলের আক্রমণ তৈরি হওয়ার সময় একবার বল মাঠের সামান্য বাইরে চলে গিয়েছিল। রেফারি যদিও সেই প্রতিবাদ গ্রাহ্য করেননি।
যা নিয়ে ম্যাচের পরে ক্ষুব্ধ রিয়াল ম্যানেজার কার্লো আনচেলোত্তি বলে যান, ‘‘যোগ্য দল হিসেবে রিয়ালের জেতা উচিত ছিল। রেফারি কেন ভার প্রযুক্তির সাহায্য নিলেন না, সেটা আমার কাছে বোধগম্য নয়।’’ যোগ করেন, ‘‘তবে এই ফল নিয়ে আমি অথবা আমার দল আদৌ শঙ্কিত নয়।’’
মঙ্গলবার ম্যাচের ৩০ মিনিট পর্যন্ত ম্যান সিটির আক্রমণ ছিল অনেক বেশি। বলা যায়, সেই গতির বিপরীতেই গোল করে ম্যাচের আবহ পাল্টে দেয় রিয়াল। ব্রাজিলীয় তারকা ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে গোল করে যান। এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গার পাস ধরে ম্যান সিটির মাঝমাঠ থেকে প্রতিপক্ষ কয়েক জনকে বোকা বানিয়ে ডান পায়ে শক্তিশালী শটে গোল করেন ভিনিসিয়াস। যা নিয়ে ম্যাচের পরে পেপ বলেন, ‘‘আমরা যখন ভাল খেলছিলাম, সেই সময়েই রিয়াল গোল করে ম্যাচের মেজাজ পাল্টে দিয়ে যায়। আগামী সপ্তাহে এতিহাদে ফাইনাল ম্যাচ খেলতে নামব।’’
তবে মঙ্গলবারের ম্যাচে আর্লিং হালান্ড হতাশ করেছেন। বিতর্ক তৈরি হয় তাঁর বাবাকে নিয়ে। হসপিটালিটি বক্সে বসে তিনি রিয়াল সমর্থকদের লক্ষ্য করে বাদাম ছুড়ে মারেন। পরিস্থিতি সামাল দিত নিরাপত্তারক্ষীদের সাহায্য নিয়ে তাঁকে বার করে নিয়ে যাওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy