Advertisement
১৯ মে ২০২৪
Liverpool

UEFA Champions League Final: চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের আগে ধুন্ধুমার! কাঁদানে গ্যাস, সেনা, আটকে গ্যারি লিনেকার

ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল শুরুর আগে। মাঠের বাইরের সেই ঘটনা নিয়ে তদন্ত চাইল লিভারপুল।

মাঠের বাইরে বিপর্যস্ত লিভারপুল সমর্থকরা।

মাঠের বাইরে বিপর্যস্ত লিভারপুল সমর্থকরা। ছবি: রয়টার্স

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০২২ ১৪:৫৫
Share: Save:

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল। ফ্রান্সের প্যারিসে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচ ঘিরে আগ্রহ ছিল সারা বিশ্বের। লিভারপুল এবং রিয়াল মাদ্রিদের সেই ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে স্টেডিয়ামের বাইরে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাঁধল। সেনা নামাতে হল ফরাসি সরকারকে। লিভারপুল সরকারি ভাবে তদন্তের দাবি জানাল।

প্যারিসে খেলা দেখার জন্য বহু সমর্থক এসেছিলেন। কিন্তু লিভারপুলের কিছু সমর্থকের ঢোকা নিয়ে তৈরি হয় বিপত্তি। পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি, মারামারি এমন জায়গায় পৌঁছে যায় যে, কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করতে হয় ফরাসি পুলিশকে।

এই গণ্ডগোলের কারণে খেলা শুরু হতে দেরি হয়। বাইরে যখন পুলিশের সঙ্গে সমর্থকদের ধ্বস্তাধস্তি চলছে সেই সময় সেখানে আটকে পড়েছিলেন গ্যারি লিনেকার। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ফুটবলার টুইট করে লেখেন, ‘মাঠে ঢুকতেই পারছি না। ভয়ঙ্কর অবস্থা।’ কিছু ক্ষণ পর ফের টুইট করে তিনি লেখেন, ‘এর থেকে খারাপ ভাবে কোনও প্রতিযোগিতা আয়োজন করা সম্ভব কি না আমি জানি না। চূড়ান্ত অব্যবস্থা এবং পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়ঙ্কর।’

মাঠের মধ্যে থাকা দর্শকদের প্রথমে জানানো হয় ১৫ মিনিট দেরিতে খেলা শুরু হবে। লিনেকার টুইট করেন, ‘দর্শক দেরিতে আসার কারণে ১৫ মিনিট দেরিতে শুরু হবে খেলা! এটা সম্পূর্ণ বাজে কথা।’

সমস্যায় পড়েছিলেন লিভারপুলের ফুটবলার জোয়েল মাতিপের ভাইও। দাদার খেলা দেখতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী-কে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হতেই সেখান থেকে পালিয়ে যেতে হয় তাঁদের। একটি রেস্তরাঁয় আশ্রয় নেন তাঁরা। প্রাক্তন ফুটবলাররাও এই পরিস্থিতি মেনে নিতে পারেননি। মাইকেল ওয়েন বলেন, “খুবই দুঃখজনক ঘটনা। সেনা নেমেছে। কী হচ্ছে জানি না। কিন্তু শুনে খারাপ লাগছে। আশা করি সকলে সুস্থ আছেন।” রিয়ো ফার্দিনান্দ বলেন, “প্রার্থনা করি সবাই যেন সুস্থ থাকেন। সবাই ফুটবল উপভোগ করতে এসেছেন।” স্টিভেন জেরার্ড বলেন, “আশা করব কারও প্রাণহানি হবে না। সবাই সুস্থ ভাবে বাড়ি ফিরুক।”

লিভারপুলের তরফে বলা হয়, “স্টেডিয়ামে ঢোকা নিয়ে যে গণ্ডগোল হয়েছে তা নিয়ে আমরা হতাশ। লিভারপুলের সমর্থকরা মাঠে ঢোকার সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছিল। ইউরোপীয় ফুটবলের সব থেকে বড় ম্যাচ এটা। যা ঘটেছে তেমন অভিজ্ঞতা সমর্থকদের না হওয়াই ভাল ছিল। এই ব্যাপারে সরকারি ভাবে আমরা তদন্তের দাবি করেছি।” ওই ঘটনার জন্য ভুয়ো টিকিট দায়ী বলে দাবি উয়েফার।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE