Advertisement
১৮ মে ২০২৪

ঋদ্ধির ধারে কাছে কাউকে দেখছেন না চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত

আশির দশকে সৈয়দ কিরমানির দস্তানা পাওয়ার দৌড়ে কিরণ মোরের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন যিনি, সেই চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত কোচ হিসেবে মুম্বইকে পরপর দু’বার রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন (২০০৩ ও ৪) করার পরে আপাতত বিদর্ভের কোচ।

মগ্ন: বিদর্ভের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফি ম্যাচের আগে অনুশীলনে ডুবে উইকেটকিপার ঋদ্ধিমান সাহা। সঙ্গে অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

মগ্ন: বিদর্ভের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফি ম্যাচের আগে অনুশীলনে ডুবে উইকেটকিপার ঋদ্ধিমান সাহা। সঙ্গে অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০১৭ ০৪:৪০
Share: Save:

ঋদ্ধিমান সাহার কোনও প্রতিদ্বন্দী ভারতীয় ক্রিকেটে খুঁজে পাচ্ছেন না প্রাক্তন ভারতীয় উইকেটকিপার চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত। টেস্টে তো বটেই, এমনকী একই সঙ্গে ওয়ান ডে বা টি টোয়েন্টিতেও নিয়মিত ভারতীয় দলের হয়ে খেলার জন্য ঋদ্ধি তৈরি, মনে করেন মুম্বইয়ের রঞ্জি ট্রফিজয়ী দলের কোচ পণ্ডিত। গত কয়েক দিনে অনেকে মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে সরে যাওয়ার পরামর্শ দিলেও পণ্ডিতের কিন্তু তাতে সায় নেই।

আশির দশকে সৈয়দ কিরমানির দস্তানা পাওয়ার দৌড়ে কিরণ মোরের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন যিনি, সেই চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত কোচ হিসেবে মুম্বইকে পরপর দু’বার রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন (২০০৩ ও ৪) করার পরে আপাতত বিদর্ভের কোচ। দল নিয়ে রঞ্জি ম্যাচের জন্য এসেছেন কল্যাণীতে। বুধবার ঋদ্ধিমান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘ঋদ্ধি-ই আপাতত সেরা। ওর কোনও প্রতিদ্বন্দী আমি এই মুহূর্তে দেখতে পাচ্ছি না। আমাদের সময় যেমন আমার আর কিরণ মোরের মধ্যে একটা প্রতিযোগিতা ছিল, সে রকম কোনও চ্যানেঞ্জের মুখে ওকে পড়তে হচ্ছে না। সে রকম চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লে ওর আসল পরীক্ষা হবে। তবে ওর দক্ষতা নিয়ে কোনও প্রশ্নই নেই। ও-ই দেশের সেরা।’’

আপাতত টেস্ট ক্রিকেটে ভারতীয় দলের হয়ে নিয়মিত খেললেও ঋদ্ধি সীমিত ওভারের ক্রিকেটের জন্য কতটা তৈরি, এই প্রশ্নের উত্তরে পণ্ডিত বলেন, ‘‘ও সব ফর্ম্যাটের জন্যই তৈরি। কোনও ফর্ম্যাটেই আমি ওর কোনও বিকল্প দেখতে পাচ্ছি না। এখন যদি ধোনি সীমিত ওভারের ক্রিকেট থেকে সরেও দাঁড়ায়, তা হলে সেই জায়গা ঋদ্ধিমান অনায়াসে ভরাট করে দিতে পারে।’’

তবে ধোনির এখনই টি-টোয়েন্টি থেকে সরে যাওয়া উচিত নয় বলে মনে করেন প্রাক্তন এই কিপার, যিনি প্রথমে তাঁর ব্যাটিংয়ের জন্য ভারতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন ১৯৮৬-তে। ওয়ান ডে-তে ৭২-এর ওপর স্ট্রাইক রেট থাকা এই আগ্রাসী ব্যাটসম্যান বলেন, ‘‘গ্রেটদের খারাপ সময় আসেই। ৪-৫টা ম্যাচে সে খারাপ খেলতেই পারে। তাকে ফিরে আসার সুযোগটাও তো দেওয়া উচিত। কয়েকটা ম্যাচে ভাল পারফর্ম করতে পারেনি বলে তাকে সরে যেতে বলাটা ঠিক নয় বোধহয়।’’

বৃহস্পতিবার থেকে বাংলার বিরুদ্ধে তাঁর দলের রঞ্জি ম্যাচ। যে বাংলার কোচ সাইরাজ বাহুতুলে একসময় তাঁর কোচিংয়ে মুম্বইয়ের হয়ে খেলেছেন। গুরু-শিষ্যের এই আসন্ন লড়াই নিয়ে পণ্ডিত বলেন, ‘‘সাইরাজ বরাবরই ভাল ছাত্র। কোচ হিসেবেও খুব ভাল করছে বলে শুনেছি। এইবার বুঝতে পারব, সত্যিই কেমন কোচ ও।’’ অন্য দিকে আবার প্রাক্তন গুরুর বিরুদ্ধে দল নামানোর অনুভূতি নিয়ে সাইরাজ বলছেন, ‘‘ওঁর কোচিংয়ের পদ্ধতি, কৌশল তৈরির প্রবণতা কি রকম, এগুলো আমার কিছুটা জানা আছে। এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগতে পারে আমার। তবে আমি মনে করি না, আমাদের মধ্যে কোনও লড়াই হতে চলেছে। গুরু-শিষ্যের সম্পর্ক একই রকম থাকবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE