Advertisement
২৩ মে ২০২৪
OP Jaisha

রিওতে মরে যেতে পারতাম: ওপি জৈশা

মহিলাদের ম্যারাথনে ৮৯ নম্বরে শেষ করেছিলেন ভারতের ওপি জৈশা। কিন্তু কী ভাবে? ভারতে ফিরে সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার গল্পই শুনিয়েছেন তিনি। এক কথায় বলছেন, ‘‘রিওতে মরে যেতে পারতাম আমি।’’ জৈশার দাবি পুরো রাস্তায় যত ব্রেক ছিল সেখানে না ছিল জল না ছিল কোনও এনার্জি ড্রিঙ্কস।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০১৬ ২১:১৯
Share: Save:

মহিলাদের ম্যারাথনে ৮৯ নম্বরে শেষ করেছিলেন ভারতের ওপি জৈশা। কিন্তু কী ভাবে? ভারতে ফিরে সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার গল্পই শুনিয়েছেন তিনি। এক কথায় বলছেন, ‘‘রিওতে মরে যেতে পারতাম আমি।’’ জৈশার দাবি পুরো রাস্তায় যত ব্রেক ছিল সেখানে না ছিল জল না ছিল কোনও এনার্জি ড্রিঙ্কস। দৌড়তে দৌড়তে মাঝে মাঝেই প্রতিযোগিদের হাতে এনার্জি ড্রিঙ্কস তুলে দেওয়া হয়। যাতে ডিহাইড্রেশন না হয়ে যায়। কিন্তু তেমন কিছু পায়নি বলেই দাবি করেছেন জৈশা। বলেন, ‘‘প্রচন্ড গরম ছিল ওখানে। দৌড় শুরু হয়েছিল সকাল ন’টায়। আমরা যখন দৌড়চ্ছিলাম তখন খুব গরম ছিল। কিন্তু কোনও জলের ব্যবস্থা ছিল না। ছিল না কোনও রিকভারি ড্রিঙ্কস, কোনও খাবার। ৮ কিলোমিটার পর রিওর আয়োজকদের তরফে জল দেওয়া হচ্ছিল। যেটা কোনও কাজের না। প্রত্যেকটি দেশের নিজস্ব স্টল ছিল ২ কিলোমিটার পর পর। কিন্তু আমাদের দেশে‌র স্টল ফাঁকাই পড়েছিল।’’ নিজের দেশের প্রতিনিধিদের দিকেই আঙুল তুলেছেন জৈশা।

৮৯এ শেষ করলেও জৈশা সময় করেছেন ২.৪৭.১৯ মিনিট। দৌঁড় শেষ করে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিলেন জৈশা। সঙ্গেই সঙ্গেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। যেখানে ডাক্তারের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পুলিশের পাল্লায়ও পড়তে হয় জৈশার কোচ নিকোলাই সেসারেভকে। জৈশা বলেন, ‘‘আমার দেশের টেকনিক্যাল অফিশিয়ালদের দায়িত্ব জল দেওয়া। এটাই নিয়ম। আমরা অন্য দেশের কাছ থেকে জল নিতে পারি না। আমি ভারতের বোর্ড লাগানো স্টলও দেখতে পাই। কিন্তু ফাঁকা। আমার খুব সমস্যা হয়েছে। শেষ জ্ঞ্যান হারাই। আমার মনে হচ্ছিল মরেই যাব।’’

ছাত্রীর ওই অবস্থা দেখে স্বভাবতই রেগে আগুন হয়ে যান কোচ। যার ফলে ডাক্তারের সঙ্গেও বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। জৈশা বলেন, ‘‘আমার কোচ খুব রেগে গিয়েছিলেন। ডাক্তারের সঙ্গে ঝগড়াও হয়। কোচ ভেবেছিল আমি বেঁচে নেই। তাই ডাক্তারকে আমাকে দেখার জন্য ধাক্কা দেন।’’ কিন্তু এত কিছুর পরও ভারতীয় শিবিরের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলেই জানিয়েছেন জৈশা। তিনি অভিযোগও জানিয়েছিলেন। ‘‘আমি অফিশিয়ালদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম কেন জল ছিল না। কিন্তু কোনও উত্তর পাইনি। আমি জানি না ওরা কী করছিল। অ্যাথলেটিক্স দলে অনেক লোক ছিল। যে কেউ এই দায়িত্বটা নিতে পারত। আমি জানি না কাকে দোষারোপ করব। মনে হয় কেউ ম্যারাথনের গরুত্বটা বুঝতে পারেনি যে আমাদের ৪২ কিলোমিটার দৌড়তে হচ্ছে।’’

আরও খবর

খেলরত্নে প্রমীলারাজ, বাঙালির দুই অর্জুন সৌম্যজিৎ-সুব্রত

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

OP Jaisha Rio Olympics Marathon
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE