ফিরছেন এবি। ছবি: এএফপি।
বুধবার সন্ধ্যায় দশ ওভার, আর বৃহস্পতিবার সকালে ১৩.১ ওভার। সাকুল্যে মোট ২৩.১ ওভারেই শেষ হয়ে গেল বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট দলের ব্যাটিং। সৌজন্যে সেই অশ্বিন-জাডেজা স্পিন। যাঁদের দাপটে মাত্র ৭৯ রানেই গুটিয়ে গেল আমলা-ডে’ভিলিয়ার্সদের লম্বা ব্যাটিং লাইন আপ। অশ্বিনের পাঁচটার পাশাপাশি জাডেজা নিলেন চার উইকেট। একটি উইকেট পেলেন অমিত মিশ্র। অর্থাত্ প্রোটিয়া ইনিংসের সবক’টি উইকেটই গেল স্পিনারদের দখলে।
পড়ুন: আমলাদের জন্য দুই স্পিনারই যথেষ্ট
ঘূর্ণি পিচে আমলারা কতটা বেমানান, বুধবার সন্ধ্যাতেই তার কিছুটা প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছিল। সকাল থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার টপ অর্ডারের নটরাজ নৃত্য যেন বার বার বলে দিচ্ছিল, গ্রিন টপেই খেলেই সেরার তকমা পেয়েছে তারা। এক ডুমিনি বাদে সবাই স্পিনের উত্তর খুঁজতে খুঁজতেই আউট হয়ে গেলেন। ডুমিনির পরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ন’নম্বরে নামা হার্মারের। অশ্বিন-জাডেজা অবস্থা এমনই করে ফেলেন যে, ৩ ওভারের বেশি হাত ঘোরাতে পারলেন না অমিত মিশ্রও।
পড়ুন: বদলের নাগপুরে ইতিহাস বদলের যুদ্ধ
বৃহস্পতিবারের নাগপুর অবশ্য বেশ কয়েকটি রেকর্ডের সাক্ষী থাকল। ১২ রানের মধ্যে অর্ধেক প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান আউট হয়ে ভেঙে দিল শতাধিক বছরের পুরনো রেকর্ড। ১৯০২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১৪ রানে অর্ধেক দল আউট হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। ভারতের বিরুদ্ধেও সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড করলেন আমলারা। ১৯৯০ সালে চণ্ডীগড়ে ৮২ রানে শেষ হয়েছিল তারা।
ফলে দ্বিতীয় দিনের লাঞ্চেই ১৪৩ রানে এগিয়ে গিয়ে নাগপুরেই সিরিজ জিতে নেওয়ার রাস্তা অনেকটাই পরিষ্কার করে রাখল কোহলির ভারত।
পড়ুন: মোহালিকে মনে করাচ্ছে ব্যাটিং ব্যর্থতা আর ডিজাইনার পিচ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy