ছবি: এএফপি।
ভারত বনাম বাংলাদেশ টেস্ট যুদ্ধে বাইশ গজে এ দিন কোনও নাটক বরাদ্দ থাকল না। কিন্তু বাইশ গজের বাইরে থাকল।
যেটা ঘটল ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান স্টেডিয়ামে ভারতীয় টিম আসার সময়।
নিরাপত্তার নিয়ম অনুযায়ী এখন প্রত্যেক টিম বাসের সঙ্গে একটা করে ডামি বাস থাকে। যাতে কোনও কারণে টিম বাস আক্রান্ত হলেও আক্রমণকারী বুঝতে না পারে, টিম আদতে আছে কোন বাসে। দু’টোকেই একই রকম নিরাপত্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আসল টিম বাসে থাকে টিম। অন্যটা ফাঁকা আসে পিছনে পিছনে।
বুধবার যা আচমকা পাল্টে ফেলা হল। আসল টিম বাস এল ফাঁকা। আর ভারতীয় টিম এল ডামি বাসে!
শোনা গেল, যে ব্যাপারে আগাম কোনও খবর ভারতীয় টিমকে নাকি দেওয়া হয়নি। এ দিন মাঠে যাওয়ার সময় আচমকাই বলা হয়, টিম যাবে ডামি বাসে। আসলটায় নয়। কারণ জানতে চাওয়া হলে নাকি বলা হয় নিরাপত্তাজনিত কিছু কারণ আছে। কিন্তু সেটা কী, স্পষ্ট করে বলা হয়নি। যার পর টিমের কেউ কেউ নাকি কিছুটা শঙ্কিত হয়ে পড়েন। আশঙ্কা আরও বাড়ে সাধারণ পুলিশ হঠিয়ে বাসে সোজা কমান্ডো মোতায়েন করে দেওয়ার পর। প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও থেকে এর পর আসল টিম বাস বেরোয় ফাঁকা, কনভয় বেষ্টিত হয়ে। পিছনে পিছনে ডামি বাসে গোটা টিম। যেখানে নাকি আসল টিম বাসের মতো আধুনিক সুযোগ-সুবিধেও খুব একটা ছিল না। বলা হচ্ছে, বাইরে থেকে টিম বাসের মতো ওটাকে দেখতে লাগে। কিন্তু ভেতরে টিম বাসের মতো স্বাচ্ছন্দ্য নেই।
মাঠে আবার চোরা অসন্তোষ ভারতীয় ড্রেসিংরুমে তৈরি হল ফতুল্লা স্টেডিয়ামে পর্যাপ্ত সুপার-সপার না থাকার কারণে। এ দিন দুপুরে তুমুল বৃষ্টির পর মাঠে একটার বেশি সুপার-সপার চলতে দেখা যায়নি। বৃষ্টির পর প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা বাদে ম্যাচ আবার শুরু হয়। শোনা গেল, ভারতীয় ড্রেসিংরুম কিছুটা অধৈর্য হয়ে পড়েছিল ম্যাচ শুরু হতে দেরি হওয়ায়। কারণ ম্যাচ শুরু হতে যত দেরি হবে, ক্ষতি তত ভারতের। যেহেতু ম্যাচে তারা ভাল অবস্থায় ছিল। মনে করা হচ্ছে, মাঠ শুকোনোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকলে টেস্ট জেতার দিকে আরও কিছুটা এগিয়ে যেতে পারত টিম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy