এশিয়ান গেমসে সোনাজয়ী ভারতীয় জ্যাভলিন তারকা নীরজ চোপড়ার সাফল্যের পিছনে জার্মান হোহনের কৃতিত্ব রয়েছে। —ফাইল চিত্র
অলিম্পিক্স শুরু হতে বাকি এক মাস। ভারতের জ্যাভলিন প্রশিক্ষক উয়ে হোহনের মতে এখনও তৈরি নয় ভারতীয় দল। দোষ দিচ্ছেন স্পোর্টস অথারিটি অব ইন্ডিয়া (সাই) এবং ভারতের অ্যাথলেটিক ফেডারেশন (এএফআই)-কে। পরক্ষ ভাবে হোহনের আঙুল নরেন্দ্র মোদীর সরকারের দিকেই।
এশিয়ান গেমসে সোনাজয়ী ভারতীয় জ্যাভলিন তারকা নীরজ চোপড়ার সাফল্যের পিছনে জার্মান হোহনের কৃতিত্ব রয়েছে। তিনি বলেন, “অলিম্পিক্সের জন্য তৈরি হওয়ার পিছনে কোনও পরিকল্পনা ছিল না। ঠিক মতো খাবার দেওয়া হয়নি অ্যাথলিটদের।” এমনকি অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাঁকে চুক্তিপত্রে সই করতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। অভিযোগ তাঁকে ব্ল্যাকমেল করা হয়েছিল।
ইউরোপে গিয়ে অনুশীলন করছেন নীরজ। সেই জন্য একটি বেসরকারি সংস্থাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন হোহন। তিনি বলেন, “পটিয়ালাতে যেখানে আমরা অনুশীলন করি, প্রচণ্ড গরম সেখানে। ভোরবেলা এবং সন্ধ্যে ৬টার পর অনুশীলন করা যায়। এই পরিস্থিতিতে নিজেকে প্রেরণা দেওয়া খুব কঠিন। আঘাত লাগলে সেরে উঠতেও সময় লাগে। আমি জানি না নীরজের ইউরোপ যাওয়া কী করে সম্ভব হল। তবে আমার মনে হয় এর পিছনে যে বেসরকারি সংস্থা ওর সঙ্গে যুক্ত তাদেরই হাত রয়েছে। সাই বা এএফআই কিছু করেনি এই ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। দেশের অ্যাথলিটদের দিকে সেই ভাবে নজর দেয় না ওরা।”
প্রায় সাড়ে ৩ বছর ধরে ভারতে কাজ করছেন হোহন। তিনি বলেন, “প্রথম যখন এসেছিলাম, ভেবেছিলাম কিছু পাল্টাতে পারব। কিন্তু সাই বা এএফআই-এর কর্মীরা থাকলে তা সম্ভব নয়। জানি না ওরা কাজটা জানে না নাকি কাজ করতে চায় না। খেলোয়াড়দের পুষ্টির জন্য যে ধরনের খাবার প্রয়োজন সেটাও দেওয়া হয় না। অলিম্পিক্সে যদি কোনও স্থান পেতে পারি আমরা তাতেই খুশি।”
হোহন নিজের চুক্তি নিয়েও খুশি নন। তিনি বলেন, “এপ্রিলের শুরুতে যে চুক্তিপত্রে সই করেছিলাম তা নিয়ে আমি খুশি নই। ব্ল্যাকমেল করে সই করানো হয়। নইলে আর টাকা দেওয়া হবে না বলা হয়। আমাদের প্রশিক্ষণ দেখে পরে মাইনে বাড়াবে বলা হয়। অন্য প্রতিশ্রুতির মতো এটাও ফাঁকা আওয়াজ ছিল। ভারতীয় অ্যাথলিটদের সাহায্য করতে আসা প্রশিক্ষকদের সঙ্গে এমন ব্যবহার আশা করা যায় না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy