সোমবার হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ম্যাচের মাঝে তর্কাতর্কিতে জড়ান হার্দিক এবং নেহরা। ছবি: টুইটার।
মাঠে প্রকাশ্যে ঝামেলা গুজরাত টাইটান্স অধিনায়ক হার্দিক পান্ড্য এবং কোচ আশিস নেহরার। গত সোমবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে গুজরাত জিতলেও মাঠের ধারে তাঁদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়।
কোনও দল সাফল্যের মধ্যে থাকলে সাধারণত মতবিরোধ বা অশান্তির বিষয়গুলি সাজঘরের বাইরে আসে না। অথচ তেমনই ঘটল আইপিএলে। এ বারের প্রতিযোগিতায় এখনও পর্যন্ত সফলতম দল গুজরাত। তাদের কোচ এবং অধিনায়ককে প্রকাশ্যে বাদানুবাদে জড়াতে দেখে বিস্মিত ক্রিকেটপ্রেমীরা। হার্দিকের কোনও একটি সিদ্ধান্ত খুশি করতে পারেনি কোচ নেহরাকে।
হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে জয় এলেও দলের ব্যাটিং দেখে বিরক্ত ছিলেন নেহরা। শুভমন গিলের শতরান এবং সাই সুদর্শনের ৪৭ রান ছাড়া গুজরাতের কোনও ব্যাটারই দু’অঙ্কের রান করতে পারেননি হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ব্যাটারদের দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিং দেখে বিরক্ত হন নেহরা। হার্দিকও রান পাননি। তা নিয়েই সম্ভবত দলের ইনিংস শেষ হওয়ার পর অধিনায়কের সঙ্গে কথা হচ্ছিল নেহরার। তখনই তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা।
নেহরা এবং হার্দিকের মধ্যে ঠিক কী নিয়ে কথা হচ্ছিল, তা জানা যায়নি। পরে কেউই এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। গুজরাত-হায়দরাবাদ ম্যাচের অন্যতম ধারাভাষ্যকার আকাশ চোপড়া বলেন, ‘‘এই উইকেটে ১৮৮ রান কোনও কোচকেই খুশি করবে না। ২১০ থেকে ২২৫ রান করা উচিত ছিল প্রথমে ব্যাট করে। হার্দিকরা মনে হয় হায়দরাবাদকে একটু হালকা ভাবে নিয়ে ফেলেছিল। নেহরা সেটাই বলতে চাইছে হার্দিককে।’’ চোপড়ার মতে, আমদাবাদের ২২ গজে ব্যাট করা যে কঠিন ছিল না, তার সব থেকে বড় প্রমাণ শুভমনের ইনিংস।
সোমবারের ম্যাচে খারাপ ব্যাটিং করলেও জয় পেতে অসুবিধা হয়নি গুজরাতের। হায়দরাবাদকে ৩৪ রানে হারিয়ে প্রথম দল হিসাবে আইপিএলের প্লে-অফে জায়গা পাকা করে নিয়েছেন হার্দিকরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy