আইপিএল সব সময়ই জন্ম দিয়েছে নতুন নতুন প্রতিভার। সমৃদ্ধ করেছে ভারতীয় ক্রিকেটকে। দশম আইপিএলেও তার অন্যথা হয়নি। উঠে এসেছে একাধিক নতুন মুখ। উঠে এসেছেন ভবিষ্যতের ধোনি, বিরাট কোহালিরা। আবার কেউ কেউ হতাশ করেছেন। এটাই ক্রিকেট। এটাই আইপিএল। এ ভাবেই প্রতিবছর জন্ম দিয়েছে নতুন নতুন ক্রিকেটারের। যেখানে বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা ক্রিকেটার থেকে দেশের সেরারা খেলেন। তাঁদের সঙ্গে বা তাঁদের বিরুদ্ধে খেলেই নিজেদের চেনায় নতুন প্রজন্ম।
এই আইপিএলে কারা কেড়ে নিলেন লাইম লাইট?
আরও খবর: দাঁড়িয়ে থাকতেন ধোনির বাড়ির সামনে, এখন ড্রেসিংরুমেই পাশাপাশি
এই তালিকার এক নম্বরে থাকবেন ওয়াশিংটন সুন্দর। তামিলনাডুর এই অফস্পিনারের অদ্ভুত নামটাই প্রথমে সবার নজর কেড়ে নিয়েছিল। বয়স মাত্র ১৭। কিন্তু লড়লেন সব সেরাদের সঙ্গে। পুণে সুপারজায়ান্টে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের অবর্তমানে সেই দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন তিনি। এর পর ইমরান তাহির চলে যাওয়ায় আরও বড় দায়িত্ব এসে পরে তাঁর কাঁধে। ৮ উইকেটটা খুব বেশি না হলেও কোয়ালিফায়ারে ১৬ রানে তিন উইকেটের স্পেলেই ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিল পুণে।
এর পর এই তালিকায় থাকবেন ঋষভ পন্থ। পন্থ অবশ্য ভারতীয় ক্রিকেটের পরিচিত নাম। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ দলের সক্রিয় সদস্য ছিলেন তিনিও। দলকে ফাইনালেও তুলেছিল। এর পর বার বারই তাঁর নাম ঘুরে ফিরে এসেছে ভারতীয় ক্রিকেটে। নিয়মিত খেলেওছেন। দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের হয়ে পুরো আইপিএল-এ ৩৬৬ রান করেছেন তিনি। সঙ্গে ১৪ ম্যাচে অসাধারণ স্ট্রাইক-রেট, ১৬৫.৬১। সর্বোচ্চ রান গুজরাতের বিরুদ্ধে ৯৭।
এর পর নিজেকে চিনিয়েছেন নীতীশ রানা। এই আইপিএল-এর সব থেকে বড় চমক তিনিই। দিল্লির এই ব্যাটসম্যান মুস্তাক আলি ও রঞ্জি ট্রফিতে রাজ্যের হয়ে সর্বোচ্চ রান লিখে নিয়েছিলেন নিজের নামের পাশে। দিল্লির এই বাঁ হাতি ১২ ম্যাচে করেছেন মোট ৩৩৩ রান। স্ট্রাইক-রেট ১২৫.১৩। সর্বোচ্চ রান অপরাজিত ৬২।
পুণের রাহুল ত্রিপাঠীর গল্পটা অবশ্য সিনেমার মতই। একটা সময় ধোনির বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকতেন তাঁকে একঝলক দেখার জন্য রাঁচীর এই ব্যাটসম্যান। আর এই আইপিএল-এ সেই ধোনির সঙ্গেই ভাগাভাগি করে নিলেন ড্রেসিংরুম, ভাগাভাগি করে নিলেন ২২ গজ। ১৪ ইনিংসে রাহুলের মোট রান ৩৯১। স্ট্রাইক-রেট ১৪৫.৪৪। সর্বোচ্চ ৯৩।
এই তালিকায় এর পর রয়েছেন বাসিল থাম্পি। বল হাতে ভারতীয় ক্রিকেটের বড় আবিষ্কার থাম্পি। ১২ ম্যাচে ১১ উইকেট নেওয়া থাম্পি গুজরাতের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন এই আইপিএল-এ। এটাই ছিল তাঁর প্রথম আইপিএল। সেখানে সেরা বোলিং ৩/২৯। তাঁর বলে প্যাভেলিয়নে ফিরতে হয়েছে ক্রিস গেইল, ডেভিড ওয়ার্নারের মতো বড় রান। দশম আইপিএল-এর ইমার্জিং প্লেয়ার অফ দি ইয়ারও হয়েছেন তিনি। এই তালিকায় সবার শেষে রয়েছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাজের মহম্মদ সিরাজ। রঞ্জি ট্রফিতে ৯ ম্যাচে ৪১ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। আইপিএল-এর নিলামে ২.৬ কোটিতে তাঁকে কিনে নিয়েছিল হায়দরাবাদ। আইপিএল-এর ৬ ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়ে ধরে রেখেছিলেন রঞ্জির ধারাবাহিকতা।একই দলে ছিলেন আইপিএল-এর সর্বোচ্চ উইকেট পাওয়া ভুবনেশ্বর কুমার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy