মোরিনহো বনাম ক্লপের লড়াইতে সবাই আশা করেছিল গোল এবং হাড্ডাহাড্ডি একটা লড়াই। উল্টে হয়ে দাঁড়াল ঘুমপাড়ানি ফুটবলের মহড়া। দুই কোচের রক্ষণাত্মক ছকের সামনে হার মানতে হল গোল-বিনোদনকে। লিভারপুল বনাম ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ম্যাচের স্কোর হল ০-০।
স্বভাবতই মাঠের থেকেও বিস্ফোরণটা হল মাঠের বাইরেই। পোগবা-ইব্রাহিমোভিচ সারা ম্যাচ জুড়ে আক্রমণ করতে পারলেন না। কিন্তু প্রাক্-ম্যাচ সাংবাদিক সম্মেলনে ঢোকামাত্র লিভারপুলকে আক্রমণ করে বসলেন মোরিনহো। দ্য স্পেশ্যাল ওয়ানের যুক্তি, লিভারপুল গোটা ম্যাচেই নাকি ভয় ভয় খেলেছে। শুরুর থেকেই গুটিয়ে ছিল দল। ‘‘গত বার লিভারপুল চোদ্দোটা শট মেরেছিল এই ম্যাচটায়। এ বার কটা মারল? ৬৫ শতাংশ বল পজেশন রেখে মাত্র দুটো শট! এতেও কেউ লিভারপুলের কটাক্ষ করবে না,’’ বলছেন মোরিনহো।
এখানেই থামেননি ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড কোচ। প্রিমিয়ার লিগে এখনও পর্যন্ত গোলের পর গোল করেছে লিভারপুল। কিন্তু মোরিনহো অবশ্য দাবি করছেন, লিভারপুলের আক্রমণের এত প্রশংসার মাঝে তাঁর দল দেখিয়ে দিল ক্লপ কতটা রক্ষণাত্মক। ‘‘সবাই এমন হাবভাব করে যেন লিভারপুল আক্রমণের দিক দিয়ে বিশ্বের শেষ আশ্চর্য। কিন্তু আজকে দেখা গেল লিভারপুলও যথেষ্ট রক্ষণাত্মক।’’ ক্লপও ছাড়বার পাত্র নন। তিনিও পাল্টা বললেন, ‘‘আমার মনে পড়ছে না ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড কোনও সুযোগ তৈরি করেছে।’’
তবে কোচেরা একে অপরকে যতই কটাক্ষ করুক না কেন, ম্যাচের ছবি অন্য কথা বলছে। দুই দলই সমান ভাবে সুযোগ নষ্ট করেছে। লিভারপুল তাও বা দুটো দুর্দান্ত সুযোগ পেয়েছিল। ইউনাইটেডের কোটি টাকার ফুটবলাররা নব্বই মিনিট অদৃশ্য ছিলেন। জ্লাটান ইব্রাহিমোভিচ তাও যা একটুআধটু সুযোগ তৈরি করেছেন। পোগবা গ্যালারির মতোই শুধু মাত্র দর্শক ছিলেন। মোরিনহো তবুও বলছেন, ‘‘আমার শুধু একটাই আক্ষেপ। বলটা নিয়ে কাজে লাগাতে পারল না দল। বাকিটা নিয়ে কিছু বলার নেই।’’
ড্র করে অবশ্য এখন থেকেই লিগ টেবলে সাত নম্বরে থাকল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। লিভারপুল চার নম্বরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy