রাইফেলের থেকে পিস্তল শ্যুটিংয়ে খরচ অপেক্ষাকৃত কম বলে জানিয়েছেন জয়দীপ। তিনি বললেন, ‘‘রাইফেল শ্যুটিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট পোশাক দরকার যার দাম যথেষ্ট বেশি। অথচ পিস্তল শ্যুটারদের সে রকম নির্দিষ্ট পোশাক থাকে না। রাইফেলের থেকে পিস্তলের দাম কম। গুলির খরচও অনেক কম। কোনও মধ্যবিত্ত বাড়ির ছেলেমেয়েরাও পিস্তল শ্যুটিং করতে পারে। তার জন্য খুব বেশি খরচ হয় না।’’
পিস্তল শ্যুটিংয়ের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে বাংলায় ফাইল চিত্র
তিনি নিজে কোনও দিন পিস্তল শ্যুটিং করেননি। রাইফেল শ্যুটিংয়ে অলিম্পিক্সে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। কিন্তু বাংলায় পিস্তল শ্যুটিংয়ে যাতে আগ্রহ বাড়ে সেই চেষ্টা করছেন অনেক বছর ধরে। ব্যাপক ভাবে না হলেও ধীরে ধীরে সাড়া মিলেছে বলেই জানালেন ২০১২ লন্ডন অলিম্পিক্সে ভারতের হয়ে নামা জয়দীপ কর্মকার।
রবিবার হাওড়ার শ্যুটিং স্পোর্টস ক্লাবে শেষ হল শান্ত কর্মকার পিস্তল ওপেন প্রতিযোগিতা। সেখানে উপস্থিত ছিল আনন্দবাজার অনলাইন। প্রতিযোগিতা শেষে আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় জয়দীপ তুলে আনলেন রাইফেল ও পিস্তল শ্যুটিংয়ের প্রসঙ্গ। বললেন, ‘‘পূর্ব ভারতে রাইফেলের দিকেই বেশি আগ্রহ। বাংলায় একমাত্র শান্ত কর্মকার পিস্তল ওপেন প্রতিযোগিতা সম্পূর্ণ পিস্তল প্রতিযোগিতা। বাকিগুলিতে রাইফেল ও পিস্তল দু’ধরনের ইভেন্টই হয়। এখনও রাইফেলের তুলনায় পিস্তল একটু অবহেলিত। অথচ উত্তর ভারতে আবার পিস্তলের প্রতি আগ্রহ বেশি। সেখানে ছবিটা পুরো উল্টো।’’
কিন্তু কেন পিস্তল এতটা অবহেলিত ভারতের এই অংশে? তার জবাবে জয়দীপ বললেন, ‘‘আসলে ব্রিটিশ আমল থেকে রাইফেলের দিকেই সবার ঝোঁক ছিল। তাই সব জায়গায় রাইফেল অ্যাসোসিয়েশন তৈরি হয়েছে। রাইফেল শেখানোর প্রশিক্ষক অনেক বেশি। সেই তুলনায় পিস্তলের প্রশিক্ষকও কম। তাই হয়তো এমনটা হচ্ছে। সেটা বদলানোর চেষ্টা করছি আমরা।’’
যদিও রাইফেলের থেকে পিস্তল শ্যুটিংয়ে খরচ অপেক্ষাকৃত কম বলে জানিয়েছেন জয়দীপ। তিনি বললেন, ‘‘রাইফেল শ্যুটিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট পোশাক দরকার যার দাম যথেষ্ট বেশি। অথচ পিস্তল শ্যুটারদের সে রকম নির্দিষ্ট পোশাক থাকে না। রাইফেলের থেকে পিস্তলের দাম কম। গুলির খরচও অনেক কম। কোনও মধ্যবিত্ত বাড়ির ছেলেমেয়েরাও পিস্তল শ্যুটিং করতে পারে। তার জন্য খুব বেশি খরচ হয় না।’’
গত কয়েক বছরে অবশ্য ছবিটা বদলেছে। অনেক অল্প বয়সি ছেলেমেয়েরা শ্যুটিং শিখতে আসছে। তার মধ্যে একটা বড় অংশ পিস্তল শ্যুটিংয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে। জয়দীপ বললেন, ‘‘একটা সময় ছিল যখন জাতীয় স্তরে পিস্তল ইভেন্টে বাংলা থেকে ২-৩ জন প্রতিযোগী যেত। সেটা বদলেছে। শেষ বার বাংলা থেকে জাতীয় স্তরে ২৭ জন প্রতিযোগী গিয়েছে। সেই সংখ্যাটা ক্রমেই বাড়ছে। মধ্যবিত্ত বাড়ির ছেলেমেয়েরা এগিয়ে আসছে। আশা রাখছি কয়েক বছর পরে রাইফেলের সমান সংখ্যক প্রতিযোগী পিস্তল ইভেন্টেও অংশ নেবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy