প্রস্তুতি: ইডেনে অনুশীলনের ফাঁকে কুলদীপ। নিজস্ব চিত্র
জয় দিয়ে শুরু। কিন্তু পরের দুই ম্যাচেই হার কলকাতা নাইট রাইডার্সের। জিততেই হবে ভেবে কি অযথা চাপ নিয়ে ফেলছেন দীনেশ কার্তিকরা? নাকি নতুন অধিনায়কের ভুল সিদ্ধান্তের মাশুল দিতে হচ্ছে নাইটদের?
পরপর দুই ম্যাচে হারের পরে নাইটদের শিবিরে নতুন উপলব্ধি, জয়ের কথা বেশি না ভেবে জয়ে পৌঁছনোর রাস্তা নিয়ে বেশি ভাবো। রবিবার দলের ব্যাটিং পরামর্শদাতা সাইমন ক্যাটিচের কথাতে তেমনই ইঙ্গিত। ইডেনে দলের ঐচ্ছিক অনুশীলনে এসে তিনি বলেন, ‘‘মাঠে নেমে শুধু জেতার কথাই ভাবছি আমরা। যদিও তিনটি ম্যাচেই জেতা যেত। কিন্তু কৌশল ঠিকমতো কাজে না লাগায় তা হয়নি। ব্যাটিং, বোলিং দুটোই পরিকল্পনা অনুযায়ী করতে হবে।’’ তাই ক্যাটিচের প্রস্তাব, ‘‘এখন আমাদের আর শুধু ফলের কথা ভাবলে চলবে না। জেতার প্রক্রিয়ায় বেশি জোর দিতে হবে।’’
চেন্নাইয়ে বিনয় কুমারকে শেষ ওভারে বল করতে পাঠানো। শনিবার ইডেনে হঠাৎ ওপেনিং জুটিতে বদল। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান শুভমান গিলকে সাত নম্বরে পাঠানো। নতুন বলের বোলার শিবম মাভিকে ইনিংসের শেষ দিকে বল করানো— অধিনায়ক কার্তিকের এই সিদ্ধান্তগুলি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। শনিবার রাতে ম্যাচের পরে তিনি ব্যাখ্যা দেন, ‘‘সব ম্যাচেই সুনীলকে দিয়ে ওপেন করাতে হবে, তার কোনও মানে নেই। বিপক্ষের বোলিং অনুযায়ী আমরা ওকে যে কোনও জায়গায় নামাতে পারি। হায়দরাবাদের দু’জন ভাল স্পিনার ছিল বলে ওকে পরে ব্যাট করতে পাঠাই। আর আমাদের স্পিনাররা তখন ভাল বল করছিল, উইকেট পাচ্ছিল বলে মাভিকে একটু পরেই বোলিং করাতে হয়।’’
তবে তাঁর দলের পেসারদের বিপক্ষের বোলারদের কাছ থেকে কিছু শেখার পরামর্শ দেন কার্তিক। বলেন, ‘‘সানরাইজার্স বোলাররা নাক্ল বল দুর্দান্ত কাজে লাগিয়েছে। ওদের এই কৌশল থেকে আমাদের বোলারদের কিছু শেখা উচিত।’’ শনিবার ইডেনে তিন প্রাক্তন নাইট ও ইডেনের ঘরের ছেলে ঋদ্ধিমান সাহা কেকেআরের কাছ থেকে সহজ জয় ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। এ বার নাইটদের প্রাক্তন অধিনায়ক গৌতম গম্ভীরের দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের বিরুদ্ধে ম্যাচ কার্তিকদের।
২৪ ঘণ্টা আগে ইউসুফ পাঠান, মণীশ পাণ্ডেদের অভিজ্ঞতা যেমন তাঁদের দলের কাজে লেগেছিল, সোমবার গম্ভীরও ডেয়ারডেভিলসের তুরুপের তাস হয়ে উঠতে পারেন। দিল্লির পেসার মহম্মদ শামিরও চেনা বাইশ গজ ইডেনে। অনেকটা একই রকম পরিস্থিতি। যা নিয়ে ক্যাটিচ বলেন, ‘‘এখানকার উইকেট ও পরিবেশ গৌতমের চেনা ঠিকই। কিন্তু দলটা তো পুরো বদলে গিয়েছে। তবু এটা দিল্লির একটা বাড়তি সুবিধা। তা ছাড়া যে ভাবে ওরা মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে নিয়ে এসেছে, তা অসাধারণ। ওদের কয়েকজন ভাল ফর্মে রয়েছে। এই ধরনের ক্রিকেটে আত্মবিশ্বাস খুব গুরুত্বপূর্ণ। কাল দিল্লি এই সুবিধাটা পাবে।’’’
মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যাদের ব্যাটে বেশি রান নেই। তবু ব্যাটিং কোচকে চিন্তিত দেখাল না। বললেন, ‘‘শুরুটা তো ভালই করছে রবিন উথাপ্পা, নীতীশ রানা-রা। কিন্তু ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারছে না। বড় রান তুলতে দু-একটা ভাল পার্টনারশিপ চাই। সেটাই হচ্ছে না আমাদের।’’
আসলে এখনও অনেক কিছুই শোধরানো বাকি নাইটদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy