কলকাতা লিগ আংশিক ফিরছে ময়দানে। তিন প্রধানের ম্যাচ ছাড়া বাকি সব ম্যাচই চলে যাচ্ছে জেলায়। ফলে কলকাতা লিগ কার্যত হয়ে দাঁড়াচ্ছে বেঙ্গল লিগ।
আজ, মঙ্গলবার থেকে কলকাতা লিগের প্রিমিয়ার ডিভিশন শুরু হচ্ছে। উদ্বোধনী দু’টি ম্যাচই ময়দানের বদলে হচ্ছে গয়েশপুর এবং বারাসতে। গয়েশপুরে মুখোমুখি হবে এরিয়ান এবং বিএনআর। বারাসতে পুলিশ এসির বিরুদ্ধে নামবে সাদার্ন সমিতি।
অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে এ বার ময়দানের মাঠগুলোর বেহাল দশা। এই পরিস্থিতিতে ২০ অগস্ট পর্যন্ত ক্রীড়াসূচিতে দেখা যাচ্ছে, ২৩টি ম্যাচের মধ্যে ময়দানে হবে মাত্র দশটি। এই দশটি ম্যাচই ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান এবং মহমেডানের। রবীন্দ্র সরোবরের মাঠ এখনও তৈরি হয়নি বলে সেখানেও লিগের খেলা দেওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি করেছেন আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায়। টালিগঞ্জ অগ্রগামী কোচ রঞ্জন চৌধুরী বলছেন, ‘‘সব ফুটবলার আসার পর রবীন্দ্র সরোবরে এই বেহাল মাঠের কারণেই আমরা কোনও প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারলাম না। তবে আমরা লিগের জন্য পুরোপুরি তৈরি।’’ এ দিকে, নতুন স্পনসর পেল আইএফএ। চার বছরের জন্য প্রিমিয়ার লিগকে স্পনসর করতে এগিয়ে এল একটি পানীয় প্রস্তুতকারক সংস্থা।
কী অবস্থা ময়দানের তিন প্রধানের মাঠের? ইস্টবেঙ্গল মাঠের অবস্থা এই মুহূর্তে বেশ ভাল। মাঠ যাতে খারাপ না হয়ে যায়, তাই আবাসিক শিবির থেকে ফেরার পর নিজেদের মাঠে সে ভাবে প্র্যাকটিসই করছে না লাল-হলুদ ব্রিগেড। মোহনবাগানও নিজেদের মাঠে প্র্যাকটিস করছে না। তারা প্র্যাকটিস করছে বারাসতে।
বৃষ্টির জন্য মহমেডান মাঠের ঘাস কাটা সম্ভব হয়নি। তাই তাদের প্র্যাকটিস ব্যাহত হয়েছে এই বৃষ্টিতে। ১২ অগস্ট মহমেডান মাঠে প্রথম ম্যাচ। ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তার আগে ঘাস কেটে মাঠ তৈরি হয়ে যাবে। মঙ্গলবারই নতুন কো-স্পনসর পেতে চলেছে মহমেডান। সেখানেই রিলিজ হবে মহমেডানের থিম সং।
এ দিকে, কলকাতা লিগে নামার চার দিন আগেও দুই প্রধানে অস্বস্তি টিম গঠন নিয়ে। ইস্টবেঙ্গলে যখন ধোঁয়াশা বেলো-র্যান্টি প্রথম ম্যাচ থেকে খেলবেন কি না তা নিয়ে, মোহনবাগানে তখন সমস্যা রক্ষণ এবং মাঝমাঠ নিয়ে। সোমবার সকালে অনুশীলনের পর বেলো যদিও বলে যান, ‘‘তিন দিন দলের সঙ্গে অনুশীলন করলেই ম্যাচ ফিট হয়ে যাব। বাকিটা কোচের হাতে।’’ মঙ্গলবারই প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে খড়গপুর যাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য এ দিন যদিও বলেন, ‘‘বেলো-র্যান্টির সঙ্গে কথা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য যে টানা ছ’বার কলকাতা লিগ জেতা, তা ওদের বুঝিয়েছি। আশা করছি, দু’জনেই প্রথম ম্যাচে থাকবে।’’
মোহনবাগানে আবার ধন্দ স্টপার এবং স্ট্রাইকার পজিশনে কাকে খেলানো হবে তা নিয়ে। কোচ সঞ্জয় সেন যদিও বলছেন, ‘‘ধীরে ধীরে পারফরম্যান্সের শিখরে ওঠার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। এখনও পাঁচ দিন হাতে রয়েছে। আশা করি, তার মধ্যে টিম সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy