Advertisement
১৭ জুন ২০২৪

টেনিস থেকে আর কিছু পাওয়ার নেই পেজের

যে সময়ে তাঁকে রোজই কেউ না কেউ অবসর নিয়ে প্রশ্ন করেন, এমন একটা সময়ে লিয়েন্ডার রোজই টেনিসকে ভরপুর উপভোগ করছেন।

লড়াই: কোর্টে নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত লিয়েন্ডারের।

লড়াই: কোর্টে নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত লিয়েন্ডারের।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০১৮ ০৪:০১
Share: Save:

গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাবের সংখ্যা ১৮। অলিম্পিক্স পদক রয়েছে একটা। টেনিস জীবনে আর কিছুই পাওয়ার নেই লিয়েন্ডার পেজের। নিজেই জানিয়ে দিয়েছেন এই কথা। বলেন, ‘‘আর নতুন কোনও লক্ষ্য স্থির করা আমার এই টেনিস জীবনে বেশ কঠিন।’’

তা সত্ত্বেও অবশ্য আধুনিক টেনিসের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন ভারতের সর্বকালের সেরা টেনিস তারকা। যে যুগের টেনিসে শক্তিই সব, সেই যুগের টেনিসে নিজেকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা এখনও করে চলেছেন তিনি।

তাঁর সমসাময়িক খেলোয়াড়দের অনেকেই এখন কোচ হয়ে গিয়েছেন। তাঁর পরে খেলা শুরু করেও অনেকে এখন অবসর জীবন যাপন করছেন। কিন্তু লিয়েন্ডার পেজের কোর্টে নেমে বিপক্ষকে বেগ দেওয়ার নেশা এখনও একই রকম। অফ সিজনেও যাঁকে একই রকম ঘাম ঝরাতে দেখা যায়। মরসুমের বাইরেও এখনও এত পরিশ্রম কেন? লিয়েন্ডার বলছেন, ‘‘দক্ষতা, সক্ষমতা, ওজন কমানো, নিজের খেলা নতুন করে আবিষ্কার করা। এগুলোই ঘষা মাজা করতে হয় অফ সিজনে। এখন খেলাটা পুরো শারীরিক হয়ে গিয়েছে যে। এখন ছেলেরা বেশির ভাগই ছয়-সাড়ে ছ’ফুটের। এত জোরে শট মারে ওরা যে, রিঅ্যাকশন টাইম দিনে দিনে কমে যাচ্ছে।’’

সংবাদসংস্থাকে লিয়েন্ডার বলেন, ‘‘শক্তি বাড়ানোটা মূলত সার্ভিসের জোর বাড়ানোর জন্য। ফোরহ্যান্ডের জোর যাতে আরও বাড়ে। অফ সিজনটা আমার কাছে বেশির ভাগই ফিটনেসের জন্য। নতুন লক্ষ্য স্থিরও করতে হয় এই সময়ে, যেটা আমার কাছে এখন বেশ কঠিন।’’

যে সময়ে তাঁকে রোজই কেউ না কেউ অবসর নিয়ে প্রশ্ন করেন, এমন একটা সময়ে লিয়েন্ডার রোজই টেনিসকে ভরপুর উপভোগ করছেন। বলছেন, ‘‘যা চেয়েছিলাম, সবই তো পাওয়া হয়ে গিয়েছে। এখন আমি নিজের জন্য খেলি। ভরপুর উপভোগ করি টেনিসকে। সবাইকে প্রেরণা জোগাতে চেষ্টা করি।’’

আর একটা এশিয়ান গেমস বা অলিম্পিক্সে খেলার সাধ নেই তাঁর?

লিয়েন্ডারের উত্তর, ‘‘এই নিয়ে কোনও চাপ নেই। খেলি, ভাল লাগে বলে। এর সঙ্গে যদি এই সুযোগগুলো আসে, দারুণ লাগবে।’’ এই বছর নিজেকে অনেক শক্তিশালী করে তুলেছেন বলে জানালেন ৪৪ বছর বয়সি লিয়েন্ডার। বলেন, ‘‘ওজন কমিয়েছি, শরীরের নীচের দিকের শক্তি বাড়িয়েছি। পুণেয় যে ভাবে সার্ভ করেছি, তাতে রোহন-জীবনরা আমার ধারেকাছেও আসতে পারেনি। খেলার কিছু স্টাইলও বদলেছি, যা পুণেয় কাজে আসেনি। তবে গত বছরের শেষে তিন সপ্তাহ অপরাজিত ছিলাম আমরা। সেটা ছিল চ্যালেঞ্জারে। এ বার এটা এটিপি স্তরে নিয়ে যেতে হবে।’’

ভারতীয় টেনিসের এখনকার তারকা রামকুমার রামনাথনের সঙ্গে কয়েক দিন কাজ করার পরে তাঁর সম্পর্কে লি-র বিশ্লেষণ, ‘‘ওর খেলাটা অসাধারণ। বিশাল সার্ভিস। বিশেষ করে সেকেন্ড সার্ভ। ইনসাইড আউট ফোরহ্যান্ড আর ব্যাকহ্যান্ড ডাউন দ্য লাইনেও দুর্দান্ত। কিন্তু ওকে কোর্টে ঠান্ডা থাকতে হবে। আবার যখন দরকার, তখন জ্বলে উঠতে হবে। শক্তি ধরে রাখতে হবে, প্রয়োজনের সময় তা ব্যবহারের জন্য। সব সময় চরম মানসিকতায় খেলা যায় না। এটাই মানসিক দক্ষতা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE