উৎসব: সপ্তম বার ফর্মুলা ওয়ান চ্যাম্পিয়ন হয়ে হ্যামিল্টন। রয়টার্স
শনিবারই ঠান্ডা আর বৃষ্টিতে পিচ্ছিল ট্র্যাকে অনুশীলন করতে হয়েছিল। তিনি জানিয়েছিলেন, অভিজ্ঞতাটা বরফ জমা রাস্তায় গাড়ি চালানোর মতো। এমনকি ইস্তানবুল পার্কে গাড়ির দৌড় শেষ করেছিলেন সবার শেষে। তখন কে-ই বা জানতেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইতিহাস সৃষ্টি করবেন ফর্মুলা ওয়ানের মহাতারকা লুইস হ্যামিল্টন! রবিবার তুরস্ক গ্রঁ প্রি জিতে স্পর্শ করবেন মিশায়েল শুমাখারের সাতটি ফর্মুলা ওয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের অনন্য নজির। সেই সঙ্গে সব চেয়ে বেশি প্রতিযোগিতা জিতে নিজেকে বিশ্বের সফলতম চালক হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করে ফেলবেন।
তুরস্কে অবিশ্বাস্য এই সাফল্যের পরে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন হ্যামিল্টন। ধরে রাখতে পারেননি চোখের জলও। বলেন, ‘‘চেষ্টা করছিলাম নিজেকে সামলানোর। কিন্তু পারছিলাম না।’’ যোগ করেছেন, ‘‘ট্রফি নিয়ে নিজের খেলোয়াড় জীবনের কথাই ভাবছিলাম। পাঁচ বছর যখন বয়স, তখন গো-কার্ট চালিয়েছিলাম। আর ব্রিটিশ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের পরে বাবাকে নিয়ে ‘আমরা চ্যাম্পিয়ন’ গাইতে গাইতে বাড়ি ফিরেছিলাম। আজ মনে পড়ছিল এ রকম কত কথা।’’ রবিবারের জয় হ্যামিল্টনের জীবনের ৯৪তম। সপ্তম ফর্মুলা ওয়ান খেতাব নিশ্চিত করে তিনি নিজের গাড়িতেই মাথায় হাত দিয়ে বসেছিলেন। পরে যা নিয়ে বলেন, ‘‘আসলে আমার নিজেরই কিছু বিশ্বাস হচ্ছিল না। হয়তো কেঁদেও ফেললাম তাই। এমনকি গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার শক্তিটুকুও ছিল না।’’ যোগ করেন, ‘‘কোনওদিন চাইনি লোকে আমাকে কাঁদতে দেখুন। চিরকালই বলেছি, কাউকে আমার কান্না দেখতে দেব না। আগে অনেক চালককেই কাঁদতে দেখছি। সেটা ভাল লাগত না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy