ম্যাঞ্চেস্টার সিটি আবার ম্যাঞ্চেস্টার সিটির মেজাজেই।
মরসুম শুরুতে যেমন ফর্ম দেখিয়েছিল ম্যান সিটি সেটারই পুনরাবৃত্তি ঘটল শনিবার এতিহাদে। একটা দাপুটে পারফরম্যান্স উপহার দিেয় তিন নম্বরে থাকল ম্যান সিটি।
ক্রিস্টাল প্যালেসকে ৫-০ হারাল পেপ গুয়ার্দিওলার দল। জয়ের সৌজন্যে প্রথম চারে শেষ করার সুযোগ আরও উজ্জ্বল হল ম্যান সিটির। আন্তোনিও কন্তের ফর্মেশন ধার করে এ দিন উইংব্যাক পজিশনে দু’জনকে রাখেন ক্রিস্টাল প্যালেস ম্যানেজার স্যাম অ্যালারডাইস। কিন্তু সেই উইংব্যাকদের দোষেই প্রথমার্ধের শুরুতে দাভিদ সিলভার গোলে ১-০ এগিয়ে যায় ম্যান সিটি। বিরতির ঠিক পরে ভিনসেন্ট কোম্পানির গোলে ব্যবধান বাড়ায় ম্যান সিটি। কেভিন দে’ব্রায়ান ও রহিম স্টার্লিংয়ের গোলে ম্যাচে জয় নিশ্চিত করে গুয়ার্দিওলার দল। নিকোলাস ওটামেন্ডির গোলে বড় জয় পেল ম্যান সিটি।
পাঁচ গোলে জিতলেও অবশ্য সন্তুষ্ট নন গুয়ার্দিওলা। যাঁর মতে আরও সুযোগ নেওয়া উচিত দলের। ‘‘আমরা প্রথম দিকে গোল পেলাম ঠিকই। কিন্তু প্রথমার্ধে বাকি মরসুমের মতো সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি। বেনটেকে ভাল একটা সুযোগ পেয়েছিল সমতা ফেরানোর,’’ বলছেন গুয়ার্দিওলা। ম্যাচ জিতলেও প্রথম মরসুমে লিগ না জেতার আক্ষেপ যেন তাড়া করছে ম্যান সিটির স্প্যানিশ ম্যানেজারকে। যাঁর মতে সুযোগ না নিতে পেরে অনেক ম্যাচে পয়েন্ট নষ্ট করেছে ম্যান সিটি। ‘‘বক্সে কে কতটা বেশি সুযোগ কাজে লাগাতে পারবে সেটার উপরই সাফল্য নির্ভর করছে। আমরা অধিকাংশ ম্যাচেই এ বার সুযোগ তৈরি করেছি। কিন্তু গোলটা আসেনি,’’ বলছেন গুয়ার্দিওলা।
পাঁচ গোল দিয়ে অবশ্য গোল পার্থক্যে বাকি অনেক ক্লাবের থেকে ভাল অবস্থায় রয়েছে ম্যান সিটি। অর্থাৎ মরসুম শেষে যদি কোনও দলের সঙ্গে পয়েন্ট সমান হয় তা হলেও ম্যান সিটি গোল পার্থক্যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে। ‘‘গোল দেওয়া সব সময় খুব জরুরি। গোল পার্থক্য মরসুম শেষে দলকে সাহায্য করতে পারে,’’ বলছেন গুয়ার্দিওলা। আগামী মরসুমে কী পাল্টাতে চান? গুয়ার্দিওলা বলছেন, ‘‘আমরা বাকি দলগুলোকে সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছি। আশা করছি পরের মরসুমে সেটা পাল্টাবে।’’
শোনা যাচ্ছে, আঁতোয়া গ্রিজম্যানকেই পাখির চোখ করছেন গুয়ার্দিওলা। আতেলেতিকো দে মাদ্রিদ স্ট্রাইকারকে সই করতে ইতিমধ্যেই প্রাথমিক কথাবার্তা সেরে রেখেছে ম্যান ইউনাইটেড।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy