ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে এক ওভারে ৩২ দিয়েছিলেন। তার পরেই টুইটারে কুশ্রী আক্রমণের মুখে স্টুয়ার্ট বিনি। শুধু তাঁকে নয়, তাঁর স্ত্রী ময়ান্তি ল্যাঙ্গার বিনিকেও করা হচ্ছিল একের পর এক অবমাননাকর মন্তব্য। শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার ভক্তদের টুইটারেই চিঠি লিখে এক হাত নিলেন স্পোর্টস অ্যাঙ্কর ময়ান্তি।
গত ২৭ অগস্ট ফ্লোরিডায় প্রথম টি-টোয়েন্টিতে এক ওভারে পাঁচটা ছয়-সহ ৩২ রান দেন স্টুয়ার্ট। তার পরেই বিনিকে নিয়ে টুইটারে শুরু হয় আক্রমণ। ক্রমে আক্রমণের নিশানা হয়ে ওঠেন তাঁর স্ত্রী ময়ান্তিও। যেখানে কেউ তাঁকে পরামর্শ দেন আত্মহত্যার! কোনও টুইটে ময়ান্তিকে লেখা হয়, ‘আমি ভাল ডিভোর্স করানোর আইজীবীকে চিনি।’ কেউ বা লেখেন, ‘‘ভারত এক ওভারে ৩২ দিয়ে ম্যাচ হেরেছে বিনির জন্য। এর চেয়েও বেশি হতাশার, ও ময়ান্তির স্বামী।’
বৃহস্পতিবার টুইটারে একটি চিঠি লিখে আক্রমণকারীদের তুলোধনা করেন ময়ান্তি। তিনি লেখেন, ‘‘কেউ প্রিয় মানুষের মৃত্যু চায় না। বা কুশ্রী ছবি পাঠিয়ে অপমানও করে না। আত্মহত্যার কথা বলে আমার প্রতি যে তীর্যক মন্তব্য করা হয়েছে তা লজ্জার। এ রকম পরিস্থিতিতে যে সব পরিবার পড়েছে, তাদের দুঃখের কথা না ভেবে আপনারা তা নিয়ে তামাশা করছেন। ভেবেছিলাম আপনারা ভালবাসা ও বিশ্বস্ততার অর্থ বোঝেন। কিন্তু ডিভোর্সের কথা বলে আপনারা বুঝিয়ে দিয়েছেন সেটা আপনাদের মধ্যে নেই। ১৮ বছর বয়স থেকে কাজ করছি আমি। আমাকে অর্থলোভী বলে গালমন্দ করার চেয়ে পরিবারকে ভাল রাখার চেষ্টা করুন। মনে হয় আমাকে অপমান করে আপনারা খুব আনন্দ পেয়েছেন। না হলে এ ধরনের মন্তব্য করার কী যুক্তি থাকতে পারে?’’
ময়ান্তির টুইটের পরেই তাঁর সমর্থনে টুইটের বন্যা শুরু হয়। যারা স্টুয়ার্ট-পত্নীকে তীর্যক মন্তব্য করেছিলেন, তাঁদের কেউ কেউ আক্রমণাত্মক মন্তব্যের জন্য দুঃখপ্রকাশও করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy