মেহতাব হোসেন।
আইএসএল-এর এই মরসুমে জামসেদপুর এফসি’র হয়ে খেলবেন মেহতাব হোসেন। আইলিগে তাঁকে ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে দেখা যাবে কি না তা নিয়ে চিন্তিত তাঁর ফ্যানরা। তাঁদের নিরাশ করলেন না তিনি। রবিবার শিলিগুড়িতে ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন কর্মকর্তা প্রয়াত পল্টু দাসের ৭৮ তম জন্মদিন পালনের অনুষ্ঠানে এসে ফ্যানদের উদ্দেশ্যে মেহতাব জানান, পরের বছর তিনি ইস্টবেঙ্গলে ফিরতেও পারেন। তা শুনেই উল্লাসে মাতেন ভিড়ে থাকা সমর্থকদের অনেকে।
এ বছর এখনও লাল-হলুদে সই না-করলেও ইস্টবেঙ্গলে তাঁর ফেরার ইঙ্গিতে খুশি সমর্থকেরা। মেহতাব নিজে জানান, ‘‘ইস্টবেঙ্গলে খেলেই অবসর নিতে চাই এমন ইচ্ছেই রয়েছে।’’
এ দিন শিলিগুড়িতে পল্টু দাসের জন্মদিন তথা ইস্টবেঙ্গলের স্পোর্টস ডে পালন করল লাল-হলুদ ফ্যানরা। রবিবার সন্ধেয় কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের সুইমিংপুলের কাছে লাল-হলুদ ফ্যানদের ওই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন তারকা ফুটবলার মেহতাব হোসেন। অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ছিল ইস্টবেঙ্গল দ্য হার্ট অব শিলিগুড়ি ফ্যান ক্লাব। এ দিন সন্ধেয় ওই অনুষ্ঠানে মেহতাব দিনটির তাৎপর্য তুলে ধরেন। তিনি জানান, ছোট থেকে পল্টু দাসের নাম শুনে আসছেন। এই নামটার সঙ্গে লাল-হলুদ ক্লাব অঙ্গাঙ্গিক ভাবে জড়িত। শিলিগুড়ি থেকে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সদস্য রবিন মজুমদার, ফ্যানস ক্লাবের কর্মকর্তা দেবতোষ সান্যালরা জানান, বন্যা পরিস্থিতির জন্য লাল-হলুদ কর্মকর্তা অঞ্জন সরকার নির্দিষ্ট সময়ে কলকাতা থেকে শিলিগুড়িতে পৌঁছতে পারেননি। দার্জিলিং মেলে তিনি এবং লাল-হলুদের আরও দুই কর্তা শিলিগুড়ি আসছিলেন। বন্যা পরিস্থিতির জন্য ট্রেন মুরারই স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে।
সেখান থেকে সড়ক পথে রওনা হয়ে এ দিন রাত সাড়ে আটটা নাগাদ শিলিগুড়ি পৌঁছন তাঁরা। এ দিনের অনুষ্ঠান থেকে শিলিগুড়ির ১০টি ফুটবল কোচিং সেন্টারে বল বিলি করার কথা ছিল। কিন্তু সেগুলো সঠিক সময়ে না পৌঁছনয় এ দিন তা তুলে দেওয়া যায়নি।
এ দিন দুপুরে শিলিগুড়িতে পৌঁছে মেহতাব বিধাননগরে ভিমবারে প্রতিবন্ধীদের একটি আবাসিক স্কুলে যান। ফ্যানস ক্লাবের তরফে তাঁর হাত দিয়ে সেখানে আবাসিকদের জন্য চাল, ডাল, আটা, আনাজ, তেল-সহ রান্নার সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy