চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রাত। গ্লাসগোয় সেল্টিকের বিরুদ্ধে মেসির প্রথম গোল। ছবি: এএফপি।
আনকোরা মালাগার বিরুদ্ধে ড্র।
লিগ টেবলে রিয়াল মাদ্রিদের থেকে চার পয়েন্ট নীচে।
কর ফাঁকি বিতর্কে নেইমারের বিরুদ্ধে হাজতবাসের আবেদন।
চোটের জন্য তারকা ফুটবলাররা বাইরে।
অন্তহীন সমস্যায় জর্জরিত বার্সেলোনা। ন্যু কাম্পের মতো দুর্গ এই মরসুমে হয়ে উঠেছে যন্ত্রণার মঞ্চ। যেখানে অর্ধেক ম্যাচে পয়েন্ট নষ্ট করে বসে আছে বার্সা।
এই কঠিন সময়ের মধ্যে অবশ্য একটা জিনিস পাল্টায়নি। দলের দশ নম্বরের বাঁ পায়ের দাপট। যাদের বিরুদ্ধে নামছে, ছিন্নভিন্ন করে দিচ্ছে। কখনও অভিনব ফ্রি-কিক। কখনও দু’তিনজনকে মাটিতে ফেলে ড্রিবল। সেই পুরনো ঝাঁঝ যেন আবার ফিরে এসেছে।
হতে পারে দলে কোনও এক নেইমার আছেন। যিনি ভবিষ্যতে ব্যালন ডি’অর জিততে পারেন। কোনও এক সুয়ারেজ আছেন। যিনি এক মরসুমে চল্লিশটা গোল করতে পারেন। থাক না। তাতেও দলের দশ নম্বর এখনও বার্সার অক্সিজেন। যে দলে থাকা মানে বার্সা আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে। সুন্দর খেলবে। আর সবচেয়ে জরুরি— দিনের শেষে জয় পকেটে পুরে ফিরবে। তিনি— লিওনেল মেসি। বুধবার রাতে গ্লাসগোয় মেসি-ম্যাজিকে চূর্ণ হল স্কটিশ গর্ব। সেল্টিক-কে ২-০ হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় বার্সা। ম্যাচে জোড়া গোল মেসির।
ম্যাচের আগেই এক রকম আত্মসমর্পণ করে দিয়েছিলেন সেল্টিক কোচ ব্রেন্ডন রজার্স। বলেছিলেন, মেসিকে শান্ত রাখাই আসল উদ্দেশ্য। কিন্তু বলা যত সহজ, করা ততটা কঠিন।
মাইনাস চার ডিগ্রির হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় রুশ টিম রোস্তভের কাছে হেরে বায়ার্ন মিউনিখ তারকারা। ছবি: রয়টার্স।
পর্দার হ্যারি পটার সেল্টিক পার্কের গ্যালারিতে বসে। ড্যানিয়েল র্যাডক্লিফের সামনেই মাঠের জাদুকরও প্রমাণ করলেন দু’পা দিয়েও ম্যাজিক দেখানো যায়। প্রথমার্ধের শুরুতে নেইমারের একটা লব। ডিফেন্ডারদের ভিড়ের মধ্যে বলটাকে ড্রপ করতে দিলেন মেসি। আর তারপর দুরন্ত শটে এলএম টেনের প্রথম গোল। বিরতির পরে পেনাল্টি স্পট থেকে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন এলএম টেন।
ম্যাচ শেষে স্বভাবতই প্রেসরুমে মেসি ছিলেন কেন্দ্রীয় চরিত্র। সেল্টিক কোচ ব্রেন্ডন রজার্স যেমন বললেন, ‘‘একটাই উপায় ছিল ম্যাচ জেতার। মেসি যদি আমাদের হয়ে খেলত।’’ বার্সা কোচ লুইস এনরিকে আবার বলছেন, ‘‘সেল্টিক ভাল দল। কিন্তু ফাইনাল থার্ডে আমরা জিতলাম। কারণটা সেই লিওনেল মেসি।’’ এ বারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজের ন’নম্বর গোল ছাড়াও বার্সার হয়ে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে একশো গোল করার নজির গড়লেন এলএম টেন। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর(৯৫) চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গোলসংখ্যা থেকে মাত্র তিনটে দূরে মেসি।
এলএম টেন ছাড়াও বুধবার রাতে আর এক স্মরণীয় মুহূর্ত উপহার দিয়ে গেল রুশ ক্লাব এফসি রোস্তভ। মাইনাস চার ডিগ্রির হাড় কাঁপানো
ঠান্ডায় নিজেদের ঘরের মাঠে বায়ার্ন মিউনিখ-কে ৩-২ হারাল দুর্বল রোস্তভ। যে ম্যাচে প্রথমে এগিয়ে গিয়েও শেষমেশ হারল বায়ার্ন। ম্যাচ হেরে বায়ার্ন কোচ কার্লো আন্সেলোত্তি অবশ্য বলছেন, ‘‘আমরা বিপক্ষকে হাল্কা ভাবে নিইনি। খারাপ খেলে হেরেছি। বিরতির পর থেকে অনেক ভুল করেছে দল।’’
আর্সেনাল-প্যারিস সাঁ জাঁ ম্যাচ আবার ২-২ হল। দুই ক্লাব শেষ ষোলোয় উঠে গেলেও ম্যাচটা ছিল গ্রুপের শীর্ষে শেষ করার লড়াই। প্রথমে এডিনসন কাভানির গোলে ১-০ এগোয় সাঁ জাঁ। কিন্তু জিরুঁর পেনাল্টি ও ভেরাত্তির আত্মঘাতী গোলে ২-১ করে আর্সেনাল। শেষমেশ আর্সেনালের অ্যালেক্স ইয়োবির আত্মঘাতী গোলে ২-২ শেষ হয়। পরিস্থিতি যা তাতে এখন সাঁ জাঁ ফেভারিট শীর্ষে শেষ করার। কারণ ব্যক্তিগত লড়াইয়ে বেশি অ্যাওয়ে গোল আছে সাঁ জাঁর। অন্য ম্যাচে মোনশেনগ্লাডবাখের সঙ্গে ১-১ ড্র করে শেষ ষোলোয় ম্যাঞ্চেস্টার সিটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy