জুটি: ক্রোমা-ডিকার দাপটে ফাইনালে মোহনবাগান। ফাইল চিত্র
গ্যাংটকের হোটেলে তাঁর রুমমেট আনসুমানা ক্রোমা গোল পেয়েছেন প্রথম ম্যাচে। কিন্তু গত আই লিগ ও কলকাতা লিগে গোলের সুনামি বইয়ে দেওয়া দিপান্দা ডিকা সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে শুক্রবারের আগে কোনও গোল পাননি।
অবশেষে এই ক্যামেরুনিয়ান স্ট্রাইকার অবশেষে তাঁর গোলের খাতা খুললেন মোহনবাগানের হয়ে। সিকিম গভর্নর্স গোল্ড কাপের সেমিফাইনালে করলেন জোড়া গোল। ডিকার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে দু’গোল করলেন মোহনবাগান আক্রমণ ভাগে তাঁর লাইবেরিয়ান সতীর্থ আনসুমানা ক্রোমা। শঙ্করলাল চক্রবর্তীর দলের অপর গোলদাতা নরহরি শ্রেষ্ঠা। গোলের ব্যবধান আরও বাড়তে পারতো। দ্বিতীয়ার্ধে ক্রোমার শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। এ ছাড়াও গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করেন ডিকা।
তিন ফরোয়ার্ড ক্রোমা, ডিকা ও নরহরির সৌজন্যে সেমিফাইনালে মুম্বইয়ের দল ওএনজিসি-কে এ দিন ৫-০ হারিয়ে ফাইনালে গেল মোহনবাগান। সোমবার ফাইনালে তাদের খেলতে হবে কাস্টমস এবং পাঠচক্রের মধ্যে অপর সেমিফাইনালে জয়ীদের মধ্যে।
আরও পড়ুন: ভেটকির ভেল্কিতে কাত স্যাঞ্চোরা
ম্যাচ শেষে মোহনবাগান কোচ শঙ্করলাল গ্যাংটক থেকে ফোনে বললেন, ‘‘পালজোড় স্টেডিয়ামে আজ দলগত পারফরম্যান্স আগের দিনের চেয়ে ভাল হয়েছে। মোহনবাগান যে কোনও টুর্নামেন্টে খেলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য। বিপক্ষ যে-ই থাকুক, আমরা ট্রফিটা নিয়েই কলকাতা ফিরতে চাই।’’ মোহনবাগানের হয়ে প্রথম গোল করে দিপান্দা ডিকাও বলে দিলেন, ‘‘মরসুমে মোহনবাগানকে প্রথম ট্রফিটা দিতে চাই। তার জন্য ফাইনাল জিততেই হবে।’’
পালজোড় স্টেডিয়ামে এ দিন খেলার শুরু থেকেই বৃষ্টি ছিল। শেষ দশ মিনিট মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যেই খেলতে হয় মোহনবাগানকে। শুরুতেই একুশ মিনিটের মাথায় মাঝমাঠ থেকে রেইনার ফার্নান্দেজ-এর পাস ধরে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন ডিকা। প্রথমার্ধে আর গোল হয়নি। বিরতির পর খেলা শুরু হতেই রাইট ব্যাক গুরজিন্দর কুমারের ক্রস ধরে গোল করেন ক্রোমা। ম্যাচের ৬১ মিনিটে ফের ৩-০ করেন ওই ক্রোমাই। তিরাশি মিনিটে বক্সের মধ্যে বিখোকেই-এর বাড়ানো বল থেকে দলের চতুর্থ গোল করেন ডিকা। ম্যাচের একদম অন্তিম লগ্নে শেখ ফৈয়াজের পাস থেকে ৫-০ করেন নরহরি। সূত্রের খবর, এ দিন মাঝমাঠে চেনা ছন্দে দায়িত্ব নিয়ে খেলতে দেখা গিয়েছে মোহনবাগান মিডিও দিয়েগো ফেরেইরাকে। ৩-০ হয়ে যাওয়ার পরেই মোহনবাগান কোচ ক্রোমাকে তুলে নামিয়ে দিয়েছিলেন ইউতা কিনোয়াকিকে। কিন্তু পেটের সমস্যায় গত পাঁচদিন ধরে ভুগেছেন এই জাপানি উইঙ্গার। তাই চেনা ছন্দে পাওয়া যায়নি তাঁকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy