সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়, বিদেশ বসুর মতো হেভিওয়েট ফুটবলারকে ‘মাঠে নামিয়েও’ শেষরক্ষা সম্ভবত হচ্ছে না মোহনবাগানের।
টালিগঞ্জ অগ্রগামীর বিরুদ্ধে অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবলার খেলানোর নিয়ম লঙ্ঘনের কারণে তিন পয়েন্ট কেটে নেওয়া হতে চলেছে সঞ্জয় সেনের টিমের। সে দিন সবুজ-মেরুনরা জিতলেও ম্যাচের শেষের কয়েক মিনিট তারা মাঠে টুর্নামেন্টের নিয়ম মতো এক জন অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবলার রাখেনি।
সে জন্য শুধু মোহনবাগানই নয়, ওই ম্যাচের চতুর্থ রেফারি উত্তম সরকারের উপরও হয়তো নেমে আসতে চলেছে আইএফএ-র শাস্তির খাঁড়া। মাঠে একটা দলের অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবলার না থাকা সত্ত্বেও তিনি রেফারির দৃষ্টি আকর্ষঁণ করেননি, সেই অপরাধে শাস্তি পতে চলেছেন উত্তম। তবে ‘বেঁচে’ যাচ্ছেন সে দিনের ম্যাচ কমিশনার সুব্রত দাস। কারণ তিনি ঘটনার অনেক দূরে বসেছিলেন।
বাগানের পয়েন্ট কাটা যাওয়া এবং চতুর্থ রেফারির শাস্তি— শুক্রবার লিগ সাব কমিটির সভায় দু’টি ব্যাপারে কার্যত সিদ্ধান্ত হলেও তার সরকারি ঘোষণা ঝুলিয়ে রাখা হল, লিগে ঝামেলা এড়ানোর ভয়ে। সোমবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষিত হবে।
তবে ডার্বিতে রেফারি রঞ্জিত বক্সীর রিপোর্টে অভিযুক্ত মোহনবাগান ফুটবলার লালকমল ভৌমিকের কী শাস্তি হবে তা নিয়ে এ দিনের সভায় আলোচনা হয়নি। এ জন্য বিশেষ সভা ডাকার ইঙ্গিত দিয়েছেন আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায়। টালিগঞ্জ-সাদার্ন সমিতি ম্যাচ গড়াপেটা নিয়েও সাদার্নকে চিঠি দিচ্ছে আইএফএ। জানতে চাওয়া হবে, কেন তারা ওই দিন প্রথম একাদশকে মাঠে রাখেনি? কেন দলের কোচ মাঠে ছিলেন না?
গড়াপেটা বা লালকমল ইস্যুর চেয়েও বাগান-টালিগঞ্জ ম্যাচ নিয়ে ময়দানে ছিল প্রবল আলোড়ন। লিগ সাব কমিটির সভায় ডাকা হয়েছিল টালিগঞ্জ, মোহনবাগান, রেফারি— সব পক্ষকেই। টালিগঞ্জ দুই কর্তাকে পাঠালেও বাগান পাঠিয়েছিল তাদের দুই প্রাক্তন নামী ফুটবলার অধুনা কর্তা সত্যজিৎ এবং বিদেশকে। সত্য এখন বাগান ফুটবল সচিব। বিদেশ কর্ম সমিতির সদস্য এবং সে দিনের ম্যাচের ম্যানেজার। দু’জনেই এ দিনের সভায় গিয়ে বলেন, ‘‘যে সময় আমরা অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবলার তুলে নিয়ে অন্য ফুটবলারকে নামিয়েছিলাম তখন কি তা ম্যাচকে প্রভাবিত করেছিল? করেনি। তা হলে আমরা ওই ম্যাচ জিতেও পয়েন্ট পাব না কেন?’’ এই ব্যাখ্যাকে সাব কমিটির সদস্যরা অবশ্য গুরুত্ব দেননি। ম্যাচের চার রেফারি, ম্যাচ কমিশনার— সবাই স্বীকার করেন তাঁদের ভুল হয়েছিল। সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর সিদ্ধান্ত হলেও তা সোমবার পর্যন্ত ঝুলিয়ে রাখা হয়। আইএফএ সচিব বললেন, ‘‘আমরা আজ অনেকটা আলোচনা করেছি। সোমবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব। তার আগে সব দেখেশুনে নিতে হবে।’’ আসলে ওই দিনই লিগে মোহনবাগানের শেষ ম্যাচ। সেই ম্যাচের পর কাতসুমিদের দলের পয়েন্ট কাটলে লিগে ঝামেলার সম্ভাবনা নেই।
ইস্টবেঙ্গল ৭৪: লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরদিনই খুশির খবর লাল-হলুদ তাঁবুতে। এএফসি-র বর্তমান ক্লাব র্যাঙ্কিংয়ে এ বার পাঁচ ধাপ উঠে এল ইস্টবেঙ্গল। এই মুহূর্তে মেহতাবদের টিম এশিয়ায় ৭৪ নম্বরে। ভারতীয় ক্লাব ইস্টবেঙ্গলই প্রথম যারা প্রথম একশোয় ঢুকে পড়ল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy