রিও বিমানবন্দরে নাদাল। ছবি: এএফপি
গেমস ভিলেজে ঢুকে পড়েও প্রতিশ্রুতি দিতে পারলেন না রাফায়েল নাদাল। না, প্রতিশ্রুতিটা এই নয় যে, স্প্যানিশ টেনিস মহাতারকা তাঁর ২০০৮ বেজিং অলিম্পিক্সের সোনা রিওতে পুনরুদ্ধার করবেন। বরং এ বারের অলিম্পিক্সে পা রেখেও নাদাল তাঁর ভক্তদের নিশ্চিত করতে পারলেন না যে, তিনি আদৌ রিওর হার্ডকোর্টে নামবেন কি না সে ব্যাপারে।
শনিবার নিজের শহর মায়োরকায় শেষ প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলে দেশ ছাড়েন নাদাল। যে ম্যাচে তাঁর পারফরম্যান্সে টেনিস মহলের প্রচণ্ড উৎসাহিত হওয়ার উপকরণ রয়েছে। রিও রওনা হওয়ার আগে মায়োরকায় সপরিবার ছুটি কাটাচ্ছিলেন অ্যান্ডি মারে। শনিবার প্র্যাকটিস ম্যাচটা নাদাল খেলেন গত অলিম্পিক্সে সোনাজয়ী মারের বিরুদ্ধেই। এবং ২-০ সেটে জেতার পথে প্রথম সেটটা নাদাল সদ্য দ্বিতীয় বার উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন মারেকে ৬-১ হারান। তার পরেও রিওতে স্পেন দলের পতাকা বহনের সম্মান পাওয়া নাদাল কথা দিতে পারছেন না, অলিম্পিক্সে তাঁকে দেখা যাবে কি না।
তিরিশ বছর বয়সি ক্লে কোর্ট সম্রাট এ বছর ফরাসি ওপেনের গোড়ার দিকের রাউন্ডে কব্জির চোটে ওয়াকওভার দেওয়া ইস্তক আর কোনও প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্টে এখনও খেলেননি। উইম্বলডন থেকেও নাম তুলে নিয়েছিলেন। রিও পৌঁছে নাদাল বলে দিয়েছেন, ‘‘সিঙ্গলস, ডাবলস, মিক্সড ডাবলস তিনটে মে়ডেল ইভেন্টেই আমার খেলার কথা অলিম্পিক্সে। কিন্তু সত্যি বলতে কী তিনটে ক্যাটেগরিতেই লড়াই করার মতো সেরা কন্ডিশনে এখনও আমি পৌঁছতে পারিনি। শেষ দু’মাস আমি কোনও টুর্নামেন্ট খেলিনি। বিরাট ট্রেনিংও করিনি। রিওতে ক’দিন প্র্যাকটিস করে দেখব কতটা কী করতে পারছি। তার পরে আমার আর আমাদের দলের জন্য যেটা সবচেয়ে ভাল হবে সেই সিদ্ধান্তটাই নেব।’’
এ বার অলিম্পিক্স থেকে ইতিমধ্যেই অনেক টেনিস তারকা জিকা-আতঙ্ক থেকে পারিবারিক অসুস্থতা, নানা কারণে সরে দাঁড়িয়েছেন। যে তালিকায় উইম্বলডন ফাইনালিস্ট মিলোস রাওনিচ, ফরাসি ওপেন সেমিফাইনালিস্ট ডমিনিক থিয়েম, বিশ্বসেরা ডাবলস জুটি ব্রায়ান ভাইয়েরা (বব-মাইক) তো আছেনই, এমনকী চোটের কারণে রিওতে নেই এক ও অদ্বিতীয় রজার ফেডেরার। সবশেষে নাদাল, যিনি রিওতে পা রেখেও কথা দিতে পারছেন না যে, কোর্টে নামবেন কি না! ফলে অলিম্পিক্স টেনিসের আরও তারকাহীন হয়ে ওঠার উপক্রম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy