মোহনবাগান মাঠে প্র্যাকটিসের ফাঁকে শামি ও ঋদ্ধিমান। শঙ্কর নাগ দাস
পার্থিব পটেল আচমকা সুযোগ পেয়ে ভাল করেছেন, মানছেন। কিন্তু তবু পার্থিব পটেলের সঙ্গে কোনও রকম প্রতিদ্বন্দিতায় নামতে চাইছেন না ঋদ্ধিমান সাহা।
আসলে পার্থিবকে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী বলে ধরছেনই না।
‘‘কেন ওকে প্রতিদ্বন্দ্বী বলে ভাবতে যাব? আমি যখন ভারতীয় টিমে ঢুকিনি, তখনও চার-পাঁচ জন উইকেটকিপার ছিল। কিন্তু কখনও তাদের নিজের কম্পিটিটর বলে ভাবিনি। পার্থিবকেও ভাবি না,’’ বৃহস্পতিবার মোহনবাগান মাঠে চোট-উত্তর প্রথম প্র্যাকটিস সেরে বলে দিলেন ঋদ্ধিমান।
ইংল্যান্ড সিরিজে বিশাখাপত্তনম টেস্টের পর চোটের কারণে বেশ কিছু দিন ভারতীয় টিমের বাইরে থাকতে হয়েছে বঙ্গ উইকেটকিপারকে। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে কিপিং, ফিটনেস ট্রেনিং শুরু করে দিলেও বৃহস্পতিবারই প্রথম বোলারের সামনে ব্যাট করতে নামলেন। মোহনবাগান নেটে। ঋদ্ধিমান বললেনও, কোনও অস্বস্তি টের পাননি। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেটের বর্তমান পরিস্থিতি তো দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে। প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে— এ বার থেকে টেস্ট টিমে কিপিংয়ের দায়িত্বে কে? বর্তমান ক্রিকেটবিশ্বের অন্যতম সেরা কিপার ঋদ্ধিমান? নাকি ইংল্যান্ড সিরিজে ভাল করা পার্থিব?
‘‘সেটা তো নির্বাচকরা ঠিক করবেন। আমি ভেবে তো কিছু করতে পারব না,’’ বলতে থাকেন ঋদ্ধি। কিন্তু এটা তো ঘটনা যে, পার্থিব কিছুটা চাপে ফেলে দিয়েছেন আপনাকে? চোটের কারণে ছিটকে যেতে হল, আর পার্থিব ঢুকে ভাল খেলে দিলেন। শুনে ঋদ্ধিমান বললেন, ‘‘বললামই তো যে, আমি অত ভাবি না। অত ভাবলে ক্রিকেট খেলতেই আসতাম না। আমি শুধু সামনেরটা দেখি। সামনে কী খেলা আছে দেখি। সেটা ক্লাব হোক, বেঙ্গল হোক বা যা কিছু। তাতে ভাল করতে নামি।’’ সঙ্গে যোগ করলেন, ‘‘জানুয়ারির শেষে মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি শুরু হচ্ছে। খেলব সেখানে। আর আমি যখন পারফর্ম করছি, এত ভাবতে যাব কেন?’’ আর ওয়ান ডে? দ্রুত ভারতীয় জার্সিতে ওয়ান ডে খেলার স্বপ্ন দেখেন না? ‘‘ডে’জ ক্রিকেটের চেয়ে ওয়ান ডে, টি-টোয়েন্টিতে আমার গ়ড় ভাল। কিন্তু আমার ভাবনায় কিছু হবে না। হয়তো আমাকে প্রতি ম্যাচে একশো করতে হবে। সেটা তো সহজ নয়।’’
তবে একটা কথা বলে দিচ্ছেন ঋদ্ধিমান। অস্ট্রেলিয়া নিয়ে। বললেন, ইংল্যান্ডের চেয়ে অস্ট্রেলিয়া সহজ প্রতিপক্ষ হবে। ‘‘ওদের কয়েক জন নতুন প্লেয়ার এসেছে। যারা ভারতীয় পরিবেশ চেনে না হয়তো। তা ছাড়া উপমহাদেশে ওদের গত কয়েক বছরের রেকর্ডও ভাল না,’’ বলে দেন তিনি। কী হবে? ৪-০? শুনে সহাস্য উত্তর আসে, ‘‘সেটা বলতে পারলে তো ব্যাপারটা বুক ক্রিকেট হয়ে যেত!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy