পঞ্জাবের গ্রাম থেকে আমেরিকার রাস্তাটা সহজ ছিল না প্রিন্সের জন্য। কিন্তু প্রিন্স তো রাজার মতোই ভাবতে ভাল বাসত। তাই স্বপ্নটাও দেখতে শুরু করেছিল আচমকাই। স্বপ্ন বড় বাস্কেট বল প্লেয়ার হবে। কিন্তু এই দেশে বাস্কেট বল নিয়ে তেমন মাতামাতি কোথায়? তাই হয়তো এক ইলেক্ট্রিসিয়ানের ঘরে জন্মেও আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখত ছোট্ট প্রিন্স। ছোট্টই তো। বয়স মাত্র ১৫।
১৪ বছর বয়সে বাবা গুরমাজে সিংহর হাত ধরে পৌঁছে গিয়েছিল লুধিয়ানার বাস্কেটবল অ্যাকাডেমিতে। তখন থেকেই আমেরিকায় খেলার স্বপ্নটা একটু একটু করে দেখতে শুরু করেছিল প্রিন্স। সেটা যে এত তাড়াতাড়ি সত্যি হয়ে সামনে এসে দাঁড়াবে তেমনটা কিন্তু স্বপ্নেও ভাবেনি সে। সতনম সিংহকে সামনে রেখেই স্বপ্ন দেখার শুরু। তার পরটা তো কাহিনী এখনও প্রিন্সের কাছে।
সাই ও স্থানীয় দিল্লি পাবলিক স্কুলের যৌথ উদ্যোগে একটি ট্রায়ালে যোগ দিয়েছিল প্রিন্স। সেখানেই বাজিমাত গুরদাসপুরের এই ছেলের। পেয়ে গিয়েছেন ৫০ লাখ টাকার স্কলারশিপ। তিন বছরের জন্য আমেরিকায় অনুশীলন, ২০১৬র জুলাই থেকে ২০১৯ এর সেপ্টেম্বর। প্রিন্স থাকবে আমেরিকায়। গুরদাসপুরের গ্রামে এখন অকাল দিওয়ালির উচ্ছ্বাস। প্রিন্সকে নিয়েই উচ্ছ্বসিত গোটা গ্রাম। এর আগে ভারত থেকে প্রথম আমেরিকায় এনবিএতে অংশ নিয়েছিলেন সতনম সিংহ ভামরা। এনবিএতে প্রিন্স কবে খেলবে এখন সেই দিনগোনাও শুরু হয়ে গেল এই খবরের সঙ্গেই। প্রিন্স যোগ দিচ্ছেন স্পায়ার ইন্সটিটিউটে ট্রেনিংয়ের জন্য। যেখানে রয়েছে আমেরিকার সেরা স্পোর্টস অ্যাকাডেমি গুলির মধ্যে একটি।
এখন একটাই চিন্তা। আমেরিকা যাওয়ার খরচ আর ভিসা খরচ দিতে হবে প্রিন্সের পরিবারকে। প্রিন্সই প্রথম স্কুল ছাত্র যে আমেরিকান স্কলারশিপ পেল। প্রিন্স ছাড়াও আরও ১৪ জনকে বেছে নেওয়া হয়েছে এই ট্রায়াল থেকে। এরা সকলেই এই স্কলারশিপ পাচ্ছে।
আরও খবর
‘সচিনের রেকর্ড ভেঙে দেওয়ার ক্ষমতা আছে বিরাটের’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy