নায়ক: স্পেনকে চ্যাম্পিয়ন করার পরে সতীর্থদের সঙ্গে ডেভিস কাপ ট্রফি নিয়ে উছ্বাস নাদালের। গেটি ইমেজেস
চলতি মরসুম তিনি আগেই বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থেকে শেষ করা নিশ্চিত করে ফেলেছিলেন। এ বার সেই কৃতিত্বে আরও একটি পালক জুড়লেন রাফায়েল নাদাল। স্পেনকে আবার ডেভিস কাপ চ্যাম্পিয়ন করে।
নাদালের দাপটে ফাইনালে কানাডাকে হারাল স্পেন। নাদাল ৬-৩, ৭-৬ (৯-৭) ফলে ডেনিস শাপোভালভকে হারাতেই ২-০ এগিয়ে গিয়ে স্পেনের খেলোয়াড়েরা ষষ্ঠ বার ডেভিস কাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন। তার আগে রবের্তো বাতিস্তা আউত ৭-৬ (৭-৩), ৬-৩ ফলে ফেলিক্স অগার আলিয়াসিমেকে হারিয়ে স্পেনকে খেতাবের দিকে এগিয়ে দিয়েছিলেন। স্পেন দলের পাঁচ সদস্যই এই জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। কিন্তু ঘরের মাঠের দর্শকের সামনে নাদালের দুরন্ত পারফরম্যান্স বড় পার্থক্য গড়ে দেয়।
এর আগে ২০০০, ২০০৪, ২০০৮, ২০০৯ ও ২০১১ সালে স্পেন ডেভিস কাপ সেরা হয়। যার মধ্যে ফাইনালে নাদাল খেলেন ২০০৪, ২০০৯, ২০১১ সালেও। ২০০৮ সালের ফাইনালে নাদাল খেলতে পারেননি চোটের জন্য। ৩৩ বছর বয়সি স্প্যানিশ তারকা এ বার আটটি রাবারের মধ্যে আটটিই জেতেন। সব চেয়ে মূল্যবান খেলোয়াড়ের পুরস্কারও পান তিনি। যার মধ্যে দুটি ম্যাচ সিঙ্গলস ও ডাবলসে জেতেন ব্রিটেনের বিরুদ্ধে। তার পরে জয় পান শাপোভালভের বিরুদ্ধে নির্ণায়ক লড়াইয়ে। ‘‘অন্যতম কঠিন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচটা পড়েছিল। গোটা সপ্তাহটাও কঠিন গিয়েছে। বিশেষ করে শারীরিক ভাবে। ডেভিস কাপে আমার শেষ শক্তিটুকুও উজাড় করে দিয়েছি,’’ বলেন নাদাল। ১৯ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী আরও বলেছেন, ‘‘মরসুমের শেষটা দুর্দান্ত ভাবে হল। আমরা জানি ডেভিস কাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা কতটা কঠিন। বিশেষ করে আরও একবার জয় পাওয়াটা। আমাদের এই সুযোগের সদ্ব্যবহারটা করতেই হত।’’
ব্রিটেনের বিরুদ্ধে ডাবলস ম্যাচে নাদালের সঙ্গে জুটি বাঁধা ফেলিসিয়ানো লোপেজ বলেন, ‘‘নাদাল আমাদের মহানায়ক। ও এমন কিছু করে দেখাতে পারে যেটা শুধু ওর পক্ষেই সম্ভব।’’ নাদাল সতীর্থ বাতিস্তা আউতের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। যিনি বাবার মৃত্যুর পরে বৃহস্পতিবার সরে গিয়েও আবার দলে ফিরে আসেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy