রাহুল দ্রাবিড়।—ফাইল চিত্র।
স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগে প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার রাহুল দ্রাবিড়কে নিয়ে জলঘোলা ক্রমে বাড়ছে।
বৃহস্পতিবারেই সংবাদসংস্থা জানিয়েছিল, দ্রাবিড়ের পাশে দাঁড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত প্রশাসকদের কমিটি (সিওএ)। যার প্রধান বিনোদ রাই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নীতি-আধিকারিককে একটি নোটও পাঠান। যে নোটে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন এবং নীতি আয়োগের প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান অরবিন্দ পানাগাড়িয়ার উদাহরণ দিয়েছিলেন তিনি। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডেরও একটি সূত্র সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছিল, জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির ডিরেক্টরের দায়িত্ব নেওয়ার আগে ইন্ডিয়া সিমেন্টস (আইপিএলের দল চেন্নাই সুপার কিংসের মালিকের সংস্থা ) থেকে ‘কর্মবিরতি’ নিয়েছিলেন দ্রাবিড়। সেই সূত্র আরও বলে, ‘‘প্রশাসকদের কমিটির প্রধান নীতি-আধিকারিককে তাঁর পাঠানো নোটে জানিয়েছেন, দ্রাবিড় কর্মবিরতি নিয়ে থাকলে তাঁকে কোনও স্বার্থ সংঘাতের আওতায় ফেলা যায় না। বিনোদ রাই এ ক্ষেত্রে রঘুরাম ও অরবিন্দের কথা উল্লেখ করেছেন। প্রথম জন শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘কর্মবিরতি’ নিয়ে এসেছিলেন। আর দ্বিতীয় জন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘লিয়েনে’ এসেছিলেন।’’
কিন্তু সেই খবর প্রকাশিত হওয়ার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই সুর পাল্টাল প্রশাসকদের কমিটি। শুক্রবার কমিটির আর এক সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) রবি থোড়গে সংবাদসংস্থাকে বলেন, ‘‘রাহুল দ্রাবিড়ের বিরুদ্ধে স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগ নিয়ে মুম্বইয়ে আলোচনা হয়েছিল। সেখানে দ্রাবিড় নিজেও হাজির ছিলেন। রঘুরাম ও অরবিন্দের যে ‘কর্মবিরতির’ উদাহরণ দেওয়া হয়েছে, তা বিষয়টি বোঝানোর জন্য। বোর্ডের নীতি আধিকারিক ডি কে জৈনের কাছে পাঠানো সরকারি চিঠিতে তা উল্লেখ করা হয়নি।’’
বিশদে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে থোড়গে আরও বলেন, ‘‘নীতি আধিকারিক প্রশাসকদের কমিটির সদস্যদের কাছে এই অভিযোগ নিয়ে মত জানতে চেয়েছিলেন। তখন কমিটির তিন সদস্যই জানায়, এ ক্ষেত্রে স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগ উঠছে না। কারণ দ্রাবিড় কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকের হয়ে কাজ করেননি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy