সলমন খানের পর এ বার হয়তো সচিন তেন্ডুলকর। অলিম্পিক্সের শুভেচ্ছা দূত নিয়ে বিতর্কের আগুন যে ভাবে ছড়াচ্ছে, তা নেভাতেই হয়তো এ বার ভারতীয় অলিম্পিক্স সংস্থা (আইওএ) এই ক্রিকেট কিংবদন্তিকে গুডউইল অ্যাম্বাস্যাডর করার চেষ্টা শুরু করল।
আইওএ-র পক্ষ থেকে সচিন তেন্ডুলকরকে অলিম্পিক্সে দেশের গুডউইল অ্যাম্বাস্যাডর বা শুভেচ্ছা দূত হওয়ার প্রস্তাব ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে। সচিন এই প্রস্তাবে রাজি কি না, তা জানা না গেলেও তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের ধারণা, এই প্রস্তাব সম্ভবত তিনি ফেরাবেন না। আইওএ এই প্রস্তাব দিয়ে দিল্লি থেকে সচিনকে চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছে বলে জানা গেল। এখন কর্তারা তাঁর উত্তরের অপেক্ষায় রয়েছেন। বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ে আইওএ সচিব রাজীব মেটা এই খবরের সত্যতা স্বীকার করে নিয়ে বলেন, “হ্যাঁ, সচিন তেন্ডুলকরকে আমরা গুডউইল অ্যাম্বাস্যাডর হওয়ার প্রস্তাব দিয়ে চিঠি দিয়েছি। এখন উনি রাজি হবেন কি না, সেটা ওঁর ব্যাপার। রাজি হলে কয়েক দিনের মধ্যেই আমরা এই ঘোষণা করে দেব।”
সলমন খানকে অলিম্পিক্সের শুভেচ্ছা দূত ঘোষণা করার পর থেকেই দেশের ক্রীড়া মহলে প্রশ্ন উঠেছে, দেশের কোনও বিখ্যাত ক্রীড়া ব্যক্তিত্বকে বাদ দিয়ে কেন একজন বলিউড তারকাকে এই সম্মান দেওয়া হল? অলিম্পিক্স পদকজয়ী শুটার যোগেশ্বর দত্ত থেকে শুরু করে কিংবদন্তি অ্যাথলিট মিলখা সিংহ, অনেকেই এর প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন।
বিতর্কটা যখন এই পর্যায়ে চলে গিয়েছে, তখন তা ঠান্ডা করার জন্যই কি সচিনকে শুভেচ্ছা দূত করার উদ্যোগ? এক রকমের ড্যামেজ কন্ট্রোল? আইওএ সচিব অবশ্য তা স্বীকার করতে রাজি নন। গত বছর কমনওয়েলথ গেমস চলাকালীন যিনি গ্লাসগোয় বিনা লাইসেন্সে মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন, সেই রাজীব মেটা এ দিন বলেন, “সচিনকে গুডউইল অ্যাম্বাস্যাডর করার পরিকল্পনা আমাদের আগেই ছিল। আমি তো আগেই বলেছি, শুধু সলমন খান নয়, এর পর আরও কয়েকজন জনপ্রিয় মানুষকে আমরা এই সম্মান দিতে চাই। তাঁদের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগানোই আমাদের উদ্দেশ্য। সুরকার এ আর রহমানকেও একই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।” পরের নামগুলি অবশ্য এখনই বলতে নারাজ আইওএ শীর্ষ কর্তা।
সচিনের নামের পাশে গুডউইল অ্যাম্বাস্যাডরের তকমা অবশ্য আগেই পড়ে গিয়েছে। যখন তাঁকে রাষ্ট্রসঙ্ঘের শুভেচ্ছা দূত ঘোষণা করা হয়েছিল। গত বছর কেরলে জাতীয় গেমসেরও শুভেচ্ছা দূত হয়েছিলেন তিনি। ইদানীং দেশের অন্যান্য খেলা নিয়ে বেশ আগ্রহও দেখাচ্ছেন সচিন। সম্প্রতি ভারতের দুই মহিলা অলিম্পিয়ান দীপা কর্মকার ও দীপিকা কুমারীর সাফল্যে তাঁদের শুভচ্ছাও জানান ক্রিকেট কিংবদন্তি। তাই এই প্রস্তাবে তিনি রাজি হবেন বলেই তাঁর ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন ক্রিকেটার শিশির হাত্তাঙ্গিদির ধারণা। শিশির বলেন, “সচিন এই প্রস্তাব ফেরালে আমি অবাকই হব। ও যে কোনও খেলার উন্নতির জন্য সব সময় আছে।”
কিন্তু ক্রিকেট যেহেতু অলিম্পিক্সে অন্তর্ভুক্ত নয়, তাই তাঁর নাম ঘোষণা হওয়ার পর না আবার নতুন বিতর্ক শুরু হয়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy