ফাইল চিত্র।
শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে সই করা নিয়ে বিতর্কে ঢুকে পড়লেন লাল-হলুদ কোচ রবি ফাওলার। চুক্তিপত্রে সই না করার জন্য কর্মকর্তাদের একহাত নিলেন তিনি। অন্যদিকে, তাঁর বিরুদ্ধে বর্ণবৈষম্যের অভিযোগ আনলেন ক্লাব কর্তারা।
ক্লাবের সঙ্গে বিনিয়োগকারী সংস্থার ডামাডোলের মাঝেই এক সমর্থক গোষ্ঠী তাদের টুইটারে ঘোষণা করে দেয়, চুক্তিপত্রে সই হবে কিছুদিনের মধ্যেই। এরপর সেই টুইটের জবাব দিয়ে ফাওলার লেখেন, ‘‘আমি অবাক, একটা সই করতে আট মাস লেগে যাওয়ায়। আমি জানি কেন এতদিন অপেক্ষা করলেন তাঁরা (ক্লাব কর্তারা)। আসলে তাঁরা চান আগের বারের থেকেও আমাদের কাজটা যাতে আরও কঠিন হয়’। ফাওলারের এই মন্তব্যের পর রবি তাঁর ওপর বেজায় চটেছেন ক্লাব কর্তারা। তাঁরা বলেন, ‘‘উনি ফুটবলার হিসেবে অসাধারণ। কিন্তু যে প্রশিক্ষক ভারতে কাজ করতে এসে ভারতবাসীকে সম্মান দেন না, তাঁর কোনও অধিকার নেই ক্লাবের সম্পর্কে কথা বলার। উনি বর্ণবৈষম্য করেছেন। ফুটবলার হিসেবে ভাল হলেও কোচ হিসেবে একেবারেই ভাল নন। উনি যে সমস্ত বিদেশিদের নিয়ে এসেছিলেন তাদের থেকে আমাদের দেশের ফুটবলাররা অনেক ভাল খেলেছে। তাই ওঁর এই ব্যাপারে কিছু বলার এক্তিয়ার নেই।’’
গত মরসুমের আইএসএল চলাকালীন বারবার এসসি ইস্টবেঙ্গলের ভারতীয় ফুটবলারদের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিতর্ক তৈরি করেছিলেন ফাওলার। এই নিয়েই শুক্রবার ক্ষোভ উগরে দেন ক্লাব কর্তারা।
অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের মধ্যেই স্বস্তির খবর লাল-হলুদ সমর্থকদের জন্য। জনি অ্যাকোস্টার প্রাপ্য টাকা মিটিয়ে দিয়েছে ক্লাব। প্রাক্তন বিশ্বকাপারের বকেয়া ১১ হাজার ৬০০ ডলার পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুরো টাকা না পাওয়ায় ফিফার দারস্থ হয়েছিলেন অ্যাকোস্টা। ফলে ট্রান্সফার ব্যানের খাঁড়াও ঝুলছিল লাল-হলুদের সামনে। আপাতত সেই অবস্থা থেকে কিছুটা স্বস্তি মিলল। তবে শুধু অ্যাকোস্টা নন, আরও একাধিক ফুটবলারের টাকা বাকি রয়েছে। তাঁরাও ফিফায় গেলে তাঁদের টাকাও মিটিয়ে দিতে হবে ক্লাবকে। নয়ত ফের ট্রান্সফার ব্যানের মুখে পড়তে হতে পারে ক্লাবকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy