ফেডেরার ক্যাপ পরে টিডি সুভাষের ক্লাস। মঙ্গলবার টালিগঞ্জ প্র্যাকটিসে। ছবি: উৎপল সরকার
টালিগঞ্জ অগ্রগামীতে কোচের মাথায় টিডি বসানোর জেরে সেই কোচের সরে যাওয়া যেন ট্র্যাডিশন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গত মরসুমে প্রথমে রঘু নন্দী ছিলেন কোচ। সুব্রত ভট্টাচার্যকে টি়ডি করার পরে রঘু সরে যান। এক বছর পরেও সেই নাটক অব্যাহত। বদল শুধু কেন্দ্রীয় চরিত্রে। সুব্রতর জায়গায় আগমন টিডি সুভাষ ভৌমিকের। আর রঘুর জায়গায় বিদায় রঞ্জন চৌধুরীর।
মঙ্গলবার টালিগঞ্জের অনুশীলনে প্রথম নামেন সুভাষ। দীপেন্দু বিশ্বাস-উগা ওপারা-অসীম বিশ্বাসদের নিয়ে প্রায় আধঘণ্টা রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে টিম মিটিং করেন। প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলিয়ে দলকে দেখে নেন। কিন্তু উপস্থিত ছিলেন না রঞ্জন। অনুশীলন শেষে সুভাষ বলেন, ‘‘কর্তাদের বলেছিলাম রঞ্জনের সঙ্গেই কাজ করতে চাই। দরকার পড়লে ওর সহকারী কোচ হবো। ও আজ এলে খুশি হতাম।’’ পরে ফোনে ধরা হলে রঞ্জন বললেন, ‘‘আমি কর্তাদের মৌখিক ভাবে জানিয়ে দিয়েছি আর যাব না। সুভাষদা খুব বড় কোচ। ওঁর সঙ্গে কাজ করতে পারলে ভালই হত। কিন্তু হঠাত্ করে দলের প্রধান কোচ থেকে সহকারী হয়ে গেলে ফুটবলারদের সামনে আমার গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন উঠে যাবে। অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি করবে। আমার বিশ্বাস টালিগঞ্জ লিগে প্রথম চারে শেষ করবে।’’
ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, চার্চিল ব্রাদার্সের মতো ক্লাবে কোচিং করালেও টালিগঞ্জে ভাল করাটাই তাঁর কাছে সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ, দাবি সুভাষের। ‘‘টালিগঞ্জের দায়িত্বই আমার নেওয়া সবচেয়ে কঠিন কাজ। হাতে কোনও সময় নেই। শুক্রবারই ম্যাচ। সব কোচেরই তো দল গুছিয়ে নিতে একটু সময় লাগে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy