তারকা: মুম্বই ছেড়ে আবার বেঙ্গালুরুর অস্ত্র সুনীল ছেত্রী।
১৯ নভেম্বরের বেঙ্গালুরু। সে দিনই যে আইএসএলের ব্লকবাস্টার। শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে মুখোমুখি বেঙ্গালুরু এফসি এবং মুম্বই সিটি এফসি। আর পাঁচটা আইএসএল ম্যাচের মতো নয় এটি। অন্তত ভারতের ফুটবল অধিনায়কের কাছে।
সুনীল ছেত্রীর কাছে এই ম্যাচটি অন্য রকম। ২০১৩ সাল থেকে বেঙ্গালুরু এফসি-র হয়ে খেলছেন তিনি। আবার শেষ দু’টি মরসুমে আবার আইএসএলে খেলেছেন মুম্বই এফসি-র হয়ে। শুধু তা-ই নয়, মুম্বইয়ের দলের হয়ে তাঁর হ্যাটট্রিকও আছে। কিন্তু এ বারের টুর্নামেন্টে ১৯ নভেম্বর নামতে হবে বেঙ্গালুরুর জার্সিতে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে। আরও একটি কারণে বিশেষ হয়ে থাকবে এই ম্যাচ। বেঙ্গালুরুতে তাঁর পুরনো ক্লাবের বিরুদ্ধে খেলেই জীবনের ‘ম্যাচ’ তাঁর। পরের দিনই গুরুগ্রামে তাঁর বিয়ের সঙ্গীত অনুষ্ঠান যে!
তিনি— সুনীল ছেত্রী কীভাবে নিচ্ছেন এই ম্যাচকে? ভারত অধিনায়ক বলছেন, ‘‘আমি এই ম্যাচটা নিয়ে কিছুই না ভাবার চেষ্টা করছি। মাঠে যখন খেলতে নামি, এ সব চিন্তা মাথায় রাখি না।’’ তবে যোগ না করে পারছেন না, ‘‘মুম্বই সিটির সঙ্গে আমার দারুণ সম্পর্ক। চিরকাল আমার হৃদয়ে থাকবে মুম্বই। আইএসএলে এখনও পর্যন্ত ওদের হয়েই আমি খেলেছি। ক্লাবের প্রত্যেকের সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক। মালিক, ভক্ত, এমনকী মুম্বই শহরকেও দারুণ লাগে।’’
বেঙ্গালুরুর জার্সিতে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে নামাটা একটা চ্যালেঞ্জ, মানছেন সুনীল। যোগ করছেন, ‘‘ফুটবল এমন মুহূর্ত উপহার দেয় বারবারই। কিন্তু বাস্তবটা হল, এই ম্যাচটায় আমার দল বেঙ্গালুরু। তাই আমার দল যে দায়িত্ব দেবে, সেটাই শুধু মাথায় থাকবে।’’
মুম্বইকে গোল দিলে কি তাঁকে উৎসব করতে দেখা যাবে? সুনীল বলে দিচ্ছেন, ‘‘অবশ্যই না।’’ মুম্বই এফসি-র হয়ে ১৭ ম্যাচে ৭ গোল করা তিনি অবশ্য মানতে চাইলেন না, এটা বিশেষ কোনও সিদ্ধান্ত। ‘‘গোল করে এমনিতেই তো আমি খুব একটা উচ্ছ্বাস কখনও করি না। অনেকে তো এ নিয়ে অভিযোগই করে যে, আমি গোল করেও কেন এত চুপচাপ থাকি। আমি আসলে এমনই। আমার সেই অভ্যেস মেনেই মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে গোল করলেও উৎসব দেখা যাবে না,’’ বলে দেন ভারতীয় ফুটবলের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্ট্রাইকার।
আই লিগ থেকে সরে এসে এ বার আইএসএলে যোগ দিয়েছে সুনীলের বেঙ্গালুরু এফসি। আইএসএলের শক্তিশালী দল এটিকে, কেরল ব্লাস্টার্স, দিল্লি ডায়নামোজের সঙ্গে কেমন লড়াই করতে পারে বেঙ্গালুরু, সে দিকে ফুটবলভক্তদের নজর থাকবে। সুনীল কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে চলা লিগের পক্ষে সওয়াল করে এসেছেন। এ বার আইএসএলে মোট ম্যাচের সংখ্যা ৯৫। অনেকগুলি ম্যাচ মানেই দীর্ঘ দিন ধরে ফুটবলের জোর টক্কর চলবে। সেটা ভেবেই উত্তেজিত বোধ করছেন সুনীল। বলে ফেলছেন, ‘‘খুবই আনন্দ পেয়েছিলাম শুনে যে, এ বারের আইএসএল বেশি দিন ধরে চলবে। আমার মনে হয়, এর ফলে লিগ আরও আকর্ষণীয় হবে।’’
বেঙ্গালুরু এফসি শেষ কয়েক বছরে এশীয় স্তরেও সফল হওয়ার মশলা দেখিয়েছে। আইএসএলের নতুন পরীক্ষা সামনে। তিনি কি কিছুটা হলেও দুশ্চিন্তায় রয়েছেন? চাপ অনুভব করছেন? জিজ্ঞেস করায় সুনীল বলে দিলেন, ‘‘দুশ্চিন্তা কথাটা ঠিক নয়। উত্তেজিত বলা যায়। চাপ? একেবারেই নেই। আমরা তো প্রথম ম্যাচ খেলছি নিজেদের মাঠে। যেটাকে আমরা দুর্গ বলি। ঘরের মাঠে খেলা মানেই আমরা নিজেদের ফেভারিট ধরে নিয়ে খেলতে নামি।’’
আইএসএলে বেঙ্গালুরুর খেলা নিয়ে নানা অনিশ্চয়তা ছিল। মেঘ কেটে যাওয়ায় খুশি সুনীল। বলে ফেলছেন, ‘‘আমি খুবই আনন্দিত, রোমাঞ্চিত। বেঙ্গালুরু এফসি-র হয়ে আইএসএলে খেলতে নামছি, দারুণ একটা অভিজ্ঞতা হতে চলেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy