ছবি: সংগৃহীত।
ইন্ডিয়ান সুপার লিগ (আইএসএল) এখন প্রায় শেষ পর্বে এসে পড়েছে। এই টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত বেশ কয়েক জন ভাল কোচ আমার নজরে পড়েছে। এঁদের কথা একটু আলোচনা করা যাক।
যেমন বেঙ্গালুরুর কোচ আলবের্তো রোকা। ট্যাকটিক্সের মাস্টার। এই নিয়ে ভারতীয় ফুটবলে দ্বিতীয় মরসুম রোকার। প্রথম মরসুমে বেঙ্গালুরু এফসি-কে শুধু ফেডারেশন কাপই জেতাননি, এএফসি কাপের ফাইনালে ওঁর কোচিংয়েই খেলেছিল সুনীলরা। সেরা কোচেদের একটা ক্ষমতা থাকে ঠিক ফুটবলারকে চিনে নেওয়ার। রোকা যে সব ফুটবলারকে বেছেছেন, তারা সবাই নিজেদের প্রমাণ করেছে। বেঙ্গালুরু এফসি-র সামনে ঠাসা সূচি ছিল। রোকা ঠিক ফুটবলারদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলিয়ে ওদের সেরাটা বার করে এনেছে। ভারতীয় ফুটবলের সম্পর্কে রোকার যা জ্ঞান, তাতে আমার মনে হয়, জাতীয় দলের জন্য ও ভবিষ্যতে আদর্শ কোচ হয়ে উঠবে।
আর এক জন হচ্ছেন চেন্নাইয়িন এফসি-র জন গ্রেগরি। প্রথম ম্যাচে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে তিন ডিফেন্ডারে টিম সাজানোর পর থেকে একটা পদক্ষেপও ভুল করেননি গ্রেগরি। ওই ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধে নিজের ভুল শুধরে নিয়ে চার ডিফেন্ডারে চলে যান গ্রেগরি। তার পর থেকে সব সিদ্ধান্তই ঠিকঠাক নিয়েছেন। ভাল কোচেরা খুব তাড়াতাড়ি শিখে যান। গ্রেগরিও ব্যতিক্রম নন। দ্রুত বুঝে গিয়েছিলেন, ইনিগো কালদেরন এক জন আক্রমণাত্মক ফুটবলার। তিন ডিফেন্ডারের মধ্যে যে জায়গায় ওকে খেলানো হচ্ছে, সেটা ঠিক নয়। মার্কো মাতেরাজ্জির জায়গা নেওয়াটা মোটেও সহজ কাজ নয়, কিন্তু সেটাই করে দেখাচ্ছেন গ্রেগরি।
এফসি পুণে সিটি-র র্যাঙ্কো পোপোভিচ-কে দেখেও আমার খুব ভাল লেগেছে। পুণে সিটি-র দায়িত্ব নিয়ে কিন্তু নিজের কাজটা খুব ভাল করেই করছে পোপোভিচ। দলে মার্সেলো পেরেইরার মতো ফুটবলার থাকলে কোচেরা সাধারণত তার ওপরই নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। কিন্তু পোপোভিচ পুরনো রাস্তাতেই হেঁটেছেন। অর্থাৎ টিম গেমের ওপরই জোর দিচ্ছেন। এবং ফলও পাচ্ছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy