ইংল্যান্ড সফরে বিরাট কোহলির বান্ধবী অনুষ্কা শর্মার উপস্থিতি নিয়ে যতই বিতর্ক হোক, রাহুল দ্রাবিড় মনে করেন, বিদেশ সফরে ক্রিকেটারদের স্ত্রী বা বান্ধবীদেরও যাওয়ায় ভুল কিছু নেই। “ছেলেরা বছরে ১০-১১ মাসই খেলে। তাই স্ত্রী, বান্ধবীদের বিদেশ সফরে যাওয়ার ছাড়পত্র থাকা উচিত। সেটা না হলেই বরং বেশি সমস্যা। আর ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সের জন্য স্ত্রী-বান্ধবীদের দোষ দেওয়া ঠিক নয়,” বলেছেন দ্রাবিড়।
টিম ইন্ডিয়ার দুই তরুণ চেতেশ্বর পূজারা এবং অজিঙ্ক রাহানে দু’জনেই দ্রাবিড়কে আদর্শ হিসেবে মানেন। এটা নিয়ে দ্রাবিড়ের বক্তব্য, “আইপিএলের সময় রাহানের সঙ্গে অনেক কথা হয়। লোকে বলে এখনকার তরুণরা নাকি টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে আগ্রহী নয়। এরা কিন্তু টি-টোয়েন্টি নিয়ে একেবারেই ভাবে না। বরং আমাকে জিজ্ঞেস করে, ইংল্যান্ড বা অস্ট্রেলিয়ায় কী ভাবে ভাল খেলতে হবে।”
উপমহাদেশের বাইরে তাঁর সেরা ইনিংস নিয়ে দ্রাবিড় বলেছেন, “দুটো ইনিংস খেলে খুব তৃপ্তি পেয়েছিলাম। ২০০৬-এ জামাইকায় টেস্টের দুটো হাফসেঞ্চুরি। ওই সিরিজটা তখন ০-০ ছিল। আমি টিমের ক্যাপ্টেন ছিলাম, তাই সিরিজ জেতার একটা চাপ ছিল। শেষ টেস্ট জঘন্য উইকেটে খেলতে হয়েছিল। উইকেট দেখেই বুঝে যাই, এই টেস্ট তিন দিনে শেষ হয়ে যাবে। আমার কেরিয়ারে অ্যাডিলেডে ডাবল সেঞ্চুরিও আছে। কিন্তু ও রকম কঠিন পিচে জেতানোর তৃপ্তিটা আলাদা।”
অবসর জীবনে শুধু কমেন্ট্রি করে যাবেন, না কোচ হওয়ার ইচ্ছে আছে? দ্রাবিড়ের উত্তর, “সব কিছুরই একটা সময় আছে। আমার কাজের মিডিয়া-সংক্রান্ত ব্যাপারগুলো ভাল লাগে। কিন্তু কাজটা সহজ নয়। বছরে দু’মাস রাজস্থান রয়্যালস মেন্টর হওয়াটাও উপভোগ করি। আমার দুই ছেলেই এখন ছোট, তাই এই মুহূর্তে এর চেয়ে বেশি সময় বের করা সম্ভব নয়। তবে পরে তরুণদের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছে আছে। সেটা ভারতের কোচ হিসেবে হতে পারে। রঞ্জি কোচ হিসেবেও।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy