বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালে ডেভিড ওয়ার্নার-মাইকেল ক্লার্কদের নাকানিচোবানি খাইয়েছিলেন ওয়াহাব রিয়াজ। যে ভয়ঙ্কর স্পেলের আতঙ্ক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটমহল। জো ডস অবশ্য মনে করেন, বৃহস্পতিবারের সেমিফাইনালে ভারতের কোনও বোলারই রিয়াজের মতো আগুন ঝরাতে পারবেন না।
মন্তব্যটা বিশেষ তাৎপর্যের কারণ, এই জো ডস গত বছরও ভারতের বোলিং কোচ ছিলেন। শামি-উমেশদের বোলিং রহস্য তাই ভালই জানেন প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার। লাহৌরের বাঁ-হাতি পেসার যে সব অ্যাঙ্গলে বল করে অস্ট্রেলীয় ব্যাটিংয়ে ধস নামিয়েছিলেন, ভারতের পক্ষে সেটা করা সম্ভব নয়। কেন? একে তো ভারতের হাতে কোনও বাঁ হাতি পেসার নেই, তার উপর ওই বাউন্স আদায় করার বোলারই বা কোথায়, অস্ট্রেলীয় সংবাদপত্রে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে প্রশ্ন ভারতের প্রাক্তন বোলিং কোচের। ডস বলছেন, “ভারতীয়া নিশ্চয়ই সে সব অ্যাঙ্গলে বল করার চেষ্টা করবে।
কিন্তু শুধু বাঁ-হাতি বোলার থাকলেই চলে না, অ্যারাউন্ড দ্য উইকেট বল করাও বেশ কঠিন কাজ। ভারতীয় পেসাররা সেটা বুঝতে পারবে। উমেশের গতি আছে কিন্তু ও অত লম্বা নয়। তাই ওর বলের গতিপথ আর বাউন্স আলাদা হবে।” সঙ্গে ডস আরও বলছেন, “ওরা তো হোমওয়ার্ক করে ব্যাপারটা করার কথা ভাববেই। ফ্লেচ (ডানকান ফ্লেচার) এ সব দিকে ভালই নজর রাখে। বাঁ হাতি পেসার থাকাটা দারুণ সুবিধের, কিন্তু ভারতের হাতে কোনও বাঁ-হাতি পেসার নেই। এই বিশ্বকাপে বাঁ-হাতি পেসাররা তো দারুণ সফল, তাই না?”
ভারতীয় বোলিংয়ের টেকনিক্যাল সমস্যার পাশাপাশি পুরনো টিমের আরও একটা দুর্বলতা চোখে পড়ছে ডসের। সেটা যদিও মানসিক। তিনি মনে করেন, গোটা টেস্ট সিরিজের পর ত্রিদেশীয় সিরিজেও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে না জেতার সাম্প্রতিক ইতিহাস খুব সহজে উড়িয়ে দিতে পারবেন না মহেন্দ্র সিংহ ধোনিরা। “টেস্ট সিরিজে বোলাররা একদম ধারাবাহিক ছিল না। কয়েকটা বল ভাল করেই আবার চাপটা তুলে নিচ্ছিল। পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে বলে হয়তো এখন ঠিকঠাক লেংথে বল করছে ওরা,” বলে ডসের সংযোজন, “ভারত ভাল ছন্দে আছে ঠিকই। কিন্তু চাপের মুখে এখনও খুব একটা পড়তে হয়নি। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে ওটাই কিন্তু আসল চ্যালেঞ্জ। গোটা গ্রীষ্মের বিপর্যয়ের মানসিক ক্ষতগুলো নিশ্চয়ই এখনও সারেনি!”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy