Advertisement
০২ মে ২০২৪
olympic

Tokyo Olympics: ভারতকে এখন সমীহ করে সবাই, অপূর্বি-সৌরভদের নিয়ে স্বপ্ন প্রাক্তন বিশ্বসেরা অঞ্জলির

আমাদের সময় বিদেশ সফরে গেলে একটু বিব্রত থাকতাম। মনে হত, বাইরে এসেছি, বিদেশিদের সঙ্গে লড়াই করতে হবে। কী জানি কী হয়।

চর্চায়: অনুশীলনে অপূর্বি। এই শুটারের উপরে আজ নজর। পিটিআই

চর্চায়: অনুশীলনে অপূর্বি। এই শুটারের উপরে আজ নজর। পিটিআই

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২১ ০৭:৩৯
Share: Save:

আজ, শনিবার পদকের লড়াইয়ে নামতে চলেছেন অপূর্বি চান্ডেলা, সৌরভ চৌধরিরা। স্বপ্ন কি দেখা যায় ভারতীয় শুটারদের নিয়ে? আনন্দবাজারকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে সব প্রশ্নের জবাব দিলেন অঞ্জলি ভগবৎ। ভিডিয়ো কলে যা বললেন ১০ মিটার এয়ার রাইফেলের প্রাক্তন বিশ্বসেরা...

প্রশ্ন: এ বারের শুটিং দলটাকে নিয়ে কী বলবেন?

অঞ্জলি: অত্যন্ত প্রতিভাবান শুটার রয়েছে আমাদের দলে। অভিজ্ঞতা এবং তারুণ্যের দারুণ মিশ্রণ আছে। মনু ভাকের, দিব্যাংশ পানোয়ার, যশস্বিনী সিংহরা আছে। তবে আমি সব চেয়ে আশাবাদী মিক্সড দলকে নিয়ে। এ বারেই প্রথম হচ্ছে। আমাদের ছেলে এবং মেয়েরা খুবই ভাল।

প্র: কাদের নিয়ে আশাবাদী হচ্ছেন?

অঞ্জলি: মনু আর সৌরভের (চৌধরি) জুটিটা খুবই ভাল। এ ছাড়া এলাভেনিল ভালারিভান নামবে দিব্যাংশের সঙ্গে। তাই ১০ মিটার এয়ার রাইফেল আর ১০ মিটার এয়ার পিস্তল দুটো ইভেন্টকে নিয়ে আমি খুবই আশাবাদী। আমাদের শুটারদের বিশ্ব মঞ্চে পদক জয়ের অভিজ্ঞতা আছে।

প্র: এই কিছু দিন আগে ক্রোয়েশিয়ার বিশ্বকাপে ২৫ মিটার পিস্তলে সোনা জিতেছিলেন রাহি সার্নোয়াট। রাহিকে নিয়ে আপনি কতটা আশাবাদী?

অঞ্জলি: রাহিকে আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি। পুণেতে আমার শুটিং রেঞ্জেই ও অনুশীলন করে। খুব সিনিয়র শুটার। অভিজ্ঞ। বিশ্বকাপ পদক আছে। কঠিন মানসিকতার মেয়ে। একটুও ঘাবড়ায় না। বিশেষ করে ফাইনালে উঠে। ওর ফাইনালগুলো দেখলে বুঝবেন, পিছিয়ে পড়া অবস্থা থেকেও কী ভাবে ফিরে আসে।

প্র: ভারতীয় শুটারদের সব চেয়ে বড় অস্ত্র কী মনে হয়?

অঞ্জলি:এদের ভয়ডরহীন মানসিকতা। আমাদের সময় বিদেশ সফরে গেলে একটু বিব্রত থাকতাম। মনে হত, বাইরে এসেছি, বিদেশিদের সঙ্গে লড়াই করতে হবে। কী জানি কী হয়। কিন্তু এই ভারতীয় শুটাররা অন্য ধাতুতে গড়া। এখন ভারতকে দেখে অন্য দেশের শুটাররা ভয় পায়। ভাবে এই দ্যাখো, বিশ্বের এক নম্বর দল এসে গিয়েছে। রাজ্যবর্ধন রাঠৌরের অলিম্পিক্স পদক, অভিনব বিন্দ্রার অলিম্পিক্স সোনা সব মানসিক প্রতিবন্ধকতা ভেঙে দিয়েছে। আমরাও পারি, এই মনোভাবটা জাগিয়ে তুলেছে শুটারদের মধ্যে।

প্র: পদক জেতার জন্য ‘এক্স ফ্যাক্টর’ কী হতে পারে?

অঞ্জলি: পরিশ্রম, প্রতিভা এগুলোর দরকার তো আছেই। কিন্তু পাশাপাশি পরিকল্পনাটাও খুব জরুরি। ভারতীয় শুটিং সংস্থা যে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করেছিল, তার ফল এখন পাওয়া যাচ্ছে। সেই ২০০৮ সাল থেকে সিনিয়র এবং জুনিয়র শুটারদের আলাদা আলাদা করে ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল। ৮০ শতাংশ বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছিল জুনিয়রদের জন্য। গত বার রিয়োয় শুটাররা নিজেদের মতো অনুশীলন করে অলিম্পিক্স খেলতে গিয়েছিল। এ বার কিন্তু একসঙ্গে অনুশীলন করেছে। সব কিছু পরিকল্পনামাফিকই এগোচ্ছে।

প্র: কোচেদের ভূমিকা নিয়ে কী বলবেন?

অঞ্জলি: এ বার ভারতীয় কোচেদের উপরেও ভরসা রেখেছে জাতীয় সংস্থা। প্রাক্তন শুটাররা কোচিংয়ের দায়িত্বে আছে। যারা ভারতের তরুণ শুটারদের একটা নিরাপদ মানসিক বলয়ের মধ্যে রাখতে পেরেছে। শুটিংয়ে যতটা দক্ষতা দরকার, ততটাই প্রয়োজন মানসিক স্থিরতার। যা এই ছেলে-মেয়েদের দিতে পারে ভারতীয় কোচেরাই।

প্র: কারা চ্যালেঞ্জে ফেলতে পারে ভারতীয় দলকে?

অঞ্জলি: ১০ মিটার এয়ার রাইফেলের ক্ষেত্রে বলব, ইরান, চিন, কোরিয়া— এরা আমাদের বড় প্রতিদ্বন্দ্বী। আরও একটা ব্যাপার হল, চিন-কোরিয়ার মতো দেশের শুটাররা গত দু’বছরে কোথাও নামেনি। ওরা চমকে দিতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

olympic Tokyo Olympics
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE