Advertisement
১১ জুন ২০২৪
Indian Olympics Team

Tokyo Olympics: নীরজ সোনা জিতলেও ওঁর বাবা জ্যাভলিন সম্পর্কে জানতেনই না!

২০১৬ সালের রিয়ো অলিম্পিক্সে যেতে পারেননি। এরপর ২০১৯ সালে কনুইয়ের চোটের জন্য অনেক মাস মাঠের বাইরে থেকেছেন এই সোনা জয়ী অ্যাথলিট।

সোনা জয়ের পর নীরজ।

সোনা জয়ের পর নীরজ। ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০২১ ২০:১৩
Share: Save:

অভিনব বিন্দ্রার পর দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে অলিম্পিক্সের আসরে সোনা জয়। জ্যাভলিনে সোনা জিতে নীরজ চোপড়া রাতারাতি শিরোনামে চলে এসেছেন। মজার ব্যাপার হল ওঁর বাবা সতীশ কুমার চোপড়া এই খেলা সম্পর্কে কিছুই জানতেন না! সামনে এল এমনই তথ্য। একই সঙ্গে উঠে এল আরও একটি বিষয়।প্রতি ম্যাচের আগে ছেলের শুভেচ্ছা কামনা করলেও তিনি কখনও নীরজের খেলা দেখেন না। এ বার ব্যতিক্রম ঘটেছে।

সতীশ বলেন, “গত ১০ বছরে আমি ওর একটাও ম্যাচ সরাসরি দেখিনি। বাড়ি ফেরার সময় ও সেই সব ম্যাচের ভিডিয়ো নিয়ে আসত। তখন দেখে নিতাম। তবে এ বার পরিবারের চাপে সবার সঙ্গে খেলা দেখলাম। আর সেই ম্যাচেই ছেলে ইতিহাস গড়ল। বাবা হিসেবে এর চেয়ে আনন্দের আর কী হতে পারে।”

পরিবারের সঙ্গে ছেলের খেলা দেখছেন সতীশ কুমার চোপড়া। ফাইল চিত্র

পরিবারের সঙ্গে ছেলের খেলা দেখছেন সতীশ কুমার চোপড়া। ফাইল চিত্র

নীরজের এখনকার চেহারার সঙ্গে আগের চেহারার কোনও মিল নেই। তখন ওজন বেশি ছিল। সতীশ বলেন, “১০ বছর আগে নীরজের চেহারা এমন ছিল না। ওজন কমানোর জন্য আমার ভাই ওকে পানিপথের শিবাজি স্টেডিয়ামে ভর্তি করে দিয়েছিল। সেখানে অনেক ধরনের খেলাধুলা করলেও হঠাৎ ওর জ্যাভলিনের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। আমি তখন এই খেলা সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। পরের দিকে ছেলের কাছ থেকে এই খেলার খুঁটিনাটি জানতে পারি।”

২০১৬ সালের রিয়ো অলিম্পিক্সে যেতে পারেননি। এরপর ২০১৯ সালে কনুইয়ের চোটের জন্য অনেক মাস মাঠের বাইরে থেকেছেন এই সোনা জয়ী অ্যাথলিট। প্রথম অলিম্পিক্স অভিযান হলেও চাপে থাকেননি নীরজ। সেটাই মনে করিয়ে দিলেন ওঁর বাবা।

তিনি শেষে বলেন, “কিছু সমস্যার জন্য ওর রিয়োতে যাওয়া হয়নি। তার পর থেকে পরিশ্রম আরও বাড়িয়েছে নীরজ। আমার ছেলে অবশেষে সেই পরিশ্রমের ফল পেল।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE