চ্যালেঞ্জ: লন্ডন মিটে শেষ লড়াইয়ে নামছেন বোল্ট। —ফাইল চিত্র।
বিশ্ব মিটে ১০০ মিটার স্প্রিন্টের হিটের চ্যালেঞ্জ টপকে গেলেন জামাইকান বিদ্যুৎ ইউসেইন বোল্ট।
শুক্রবার রাতে শুরুটা ভাল না করেও সেমিফাইনালে গেলেন বোল্ট। যদিও নিজস্ব ছন্দে হিটে দৌড়াতে না পারার জন্য স্টার্টিং ব্লককে দুষেছেন বোল্ট। বলেছেন, ‘‘স্টার্টিং ব্লকগুলো ভাল ছিল না। ফলে স্টার্ট নিতে অসুবিধা হয়েছে আমার।’’
শেষ বিশ্বমিটে নামার আগে বৃহস্পতিবারও টুইটারে একটা ছবি পোস্ট করেছিলেন ট্র্যাকের সম্রাট। টিভিতে কিংবদন্তি বক্সার মহম্মদ আলি সম্পর্কে অনুষ্ঠান দেখার ছবি। লিখেছিলেন, ‘‘দেখছি সর্বকালের সেরাকে। মহম্মদ আলি।’’
আরও পড়ুন: রানের পাহাড়ের সামনে অশ্বিন দাপটে শুরুতেই চাপে শ্রীলঙ্কা
১০০ মিটার সেমিফাইনাল শনিবার রাত ১১.৩৫ ও ফাইনাল রাত ২.১৫
ঝুলিতে তিনটে অলিম্পিক্সের আটটি সোনা, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ১১টি সোনা, একের পর এক বিশ্বরেকর্ড। তবু শেষ বারের মতো ১০০ মিটার স্প্রিন্টের যুদ্ধে নামার আগে মহম্মদ আলিই যে তাঁকে প্রেরণা জোগাচ্ছে সেটাই হয়তো ইঙ্গিতে বোঝাতে চেয়েছেন ‘বিদ্যুৎ বোল্ট’। চোখের পলকে ফিনিশিং লাইন পেরিয়ে তাঁর বিখ্যাত ‘বিদ্যুৎ’ দেখানোর ভঙ্গি আর দেখা যাবে না। ছ’ফুট পাঁচ ইঞ্চি লম্বা শরীরটা আর অ্যাথলেটিক্স দুনিয়ায় তার চেয়েও অনেক অনেক বড় মাপের ছাপ ফেলা কিংবদন্তিকে আর ট্র্যাকে দেখা যাবে না। তাই এ বারের লন্ডন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ যেন আগাগোড়াই বোল্টময়। ভক্তদের আকুল প্রার্থনা, সম্রাটের মতোই তিনি বিদায় নিন শেষ রেসে। প্রায় এক দশকের কেরিয়ারে যেটা বরাবর হয়ে এসেছে। যতই তিনি এত দিন ধরে সিংহাসনে থাকার চ্যালেঞ্জ সামলান না কেন, এই পাহাড় প্রমাণ প্র্রত্যাশার চাপ সামলানো তো মুখের কথা নয়। কিন্তু তাঁর নাম যে বোল্ট। চাপকে পাত্তা দিলে তো!
অনায়াসে তাই বোল্ট নিজের দেশের মিডিয়াকে বলে দেন, ‘‘সত্যি বলছি আমার কাছে এটা আর একটা চ্যাম্পিয়নশিপে নামার মতোই। আমি শেষ রেস হিসেবে এটাকে দেখতে চাই না। চাই না নিজের ওপর চাপ তৈরি করতে। এখানে জিততে এসেছি, নিজের সেরাটা দিতে এসেছি, যেটা বরাবর করে থাকি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy