কখনও আইসল্যান্ডের বিরুদ্ধে লজ্জাজনক হার। কখনও পর্তুগালের বিরুদ্ধে লাল কার্ড দেখা। পরপর বড় টুর্নামেন্টে ব্যর্থতা এবং বিদায়। দেশের জার্সিতে তাঁর স্মৃতি সুখের কম, বরং দুঃখের অনেক বেশি। আন্তর্জাতিক মঞ্চে সম্ভাবনাময় আবির্ভাব হলেও বর্তমানে তিনি ইংল্যান্ডের ট্র্যাজিক নায়ক। যিনি সেরা সময়েও দেশকে কিছু দিতে পারেননি।
তিনি, ওয়েন রুনি। ২০১৮ বিশ্বকাপের পর যিনি চিরতরে দেশের জার্সি তুলে রাখবেন। এবং চেষ্টা করবেন, চলে যাওয়ার আগে দেশকে বিশ্বসেরার মুকুট দিয়ে যেতে। ‘‘ঠিক করে ফেলেছি রাশিয়া বিশ্বকাপের পরেই অবসর নেব। দেশকে কিছু দেওয়ার শেষ চেষ্টা করতে চাই,’’ এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক।
কিছু দিন আগেই আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে রুনিকে অবসর নিতে বলেছিলেন অ্যালান শিয়ারার। প্রাক্তন ইংল্যান্ড স্ট্রাইকার বলেছিলেন, তিরিশ বছর বয়সে সমান তালে ক্লাব ও দেশের হয়ে খেলার ক্ষমতা নেই ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ফরোয়ার্ডের। এ বার রুনিও বললেন, ‘‘রাশিয়া বিশ্বকাপের পরে আমার বয়স হবে ৩৪। তখন আর দেশের হয়ে খেলার মতো ফিটনেস থাকবে না।’’
২০০৩ সালে মাত্র সতেরো বছর বয়সে জাতীয় অভিষেক রুনির। ২০০৪ ইউরোয় তাঁর পারফরম্যান্স নজর কেড়েছিল সবার। বিশেষজ্ঞরা মনে করেছিলেন, রুনিই হয়তো ইংল্যান্ডের ট্রফি খরা কাটাবেন। কিন্তু তেরো বছরের জাতীয় কেরিয়ারে সেটা করে দেখাতে পারেননি রুনি।
দেলে আলি। কাইল ওয়াকার। হ্যারি কেন। নতুন প্রজন্মের সেরা সব নাম রয়েছে ইংল্যান্ডে। তাতেও তারা ইউরো কোয়ার্টারে পৌঁছতে পারেনি। রুনি বলছেন, ‘‘আমাদের দলে প্রতিভার অভাব নেই। বড় টুর্নামেন্টে আমাদের ভাল করতে হবে। আমরা তার খুব কাছাকাছি চলে এসেছি।’’
রবিবার স্লোভাকিয়ার বিরুদ্ধে রাশিয়া বিশ্বকাপের প্রথম কোয়ালিফায়ারে নামছে ইংল্যান্ড। যার আগে কোচ স্যাম অ্যালারডাইস জানিয়েছেন, অধিনায়ক থাকছেন রুনিই। অ্যালারডাইস বলেছেন, ‘‘রুনিকে ওর সতীর্থরা শ্রদ্ধা করে। ওর মধ্যে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা আছে।’’ ক্লাবের মতো নতুন কোচের অধীনেও স্ট্রাইকারেই খেলবেন রুনি। ইংল্যান্ড কোচ বলছেন, ‘‘ক্লাবের হয়ে যে পজিশনে রুনি খেলে, ইংল্যান্ডের হয়েও সেখানেই খেলবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy