Advertisement
১৮ মে ২০২৪
nick kyrgios

Wimbledon 2022: কটাক্ষ, পাল্টা কটাক্ষে তুমুল বিতর্ক! উইম্বলডনের ম্যাচে নজিরবিহীন ঘটনা

তৃতীয় রাউন্ডে মুখোমুখি হয়েছিলেন নিক কিরিয়স এবং স্টেফানোস চিচিপাস। গোটা ম্যাচই ঘটনাবহুল হয়ে থাকল বিভিন্ন কারণে।

বিতর্কে নাম জড়াল কিরিয়সের।

বিতর্কে নাম জড়াল কিরিয়সের। ছবি রয়টার্স

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২২ ১৪:৫৪
Share: Save:

নিক কিরিয়স এবং বিতর্ক এখন সমার্থক হয়ে গিয়েছে। যতই দুর্দান্ত টেনিস খেলে ম্যাচ জিতুন, যতই দুর্দান্ত রিটার্ন করে প্রতিপক্ষকে চমকে দিন, বিতর্ক কিছুতেই তাঁর পিছু ছাড়তে রাজি হয় না। ভাল খেললেও ম্যাচে ঠিক এমন কোনও কাণ্ড ঘটাবেন, যা তাঁর খেলা ছাপিয়ে শিরোনাম তৈরি করে দেবে। শনিবার উইম্বলডনের তৃতীয় রাউন্ডে স্টেফানোস চিচিপাসের বিরুদ্ধে ম্যাচ যেমন। একাধিক বার মেজাজ হারিয়েছেন চিচিপাস। তাঁর দাবি, পুরোটাই হয়েছে কিরিয়সের কাণ্ডকারখানার জেরে। চিচিপাস এমনিতে সার্কিটে ভদ্র খেলোয়াড় হিসাবেই পরিচিত। তাঁর মেজাজ হারানো দেখে অবাক অনেকেই।

চিচিপাসের দাবি, কিরিয়স তাঁকে গোটা ম্যাচ জুড়ে বিভিন্ন ভাবে কটাক্ষ করে গিয়েছেন। যে কারণে নিজের উপরে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি তিনি। পাল্টা দিতে বাধ্য হয়েছেন। চিচিপাসের দাবি কেউ উড়িয়ে দিতে পারছেন না। কারণ মুখের ভাষা হোক বা আচার-আচরণ, সব রকম ভাবেই তিনি সমালোচিত হন। শনিবার ম্যাচের পর চিচিপাসের অভিযোগ, “কিরিয়স বিপক্ষকে কটাক্ষ করতে ভালবাসে। হয়তো ছোটবেলায় স্কুলে ওকে কেউ কটাক্ষ করেছিল। আমি কটাক্ষ একদম সহ্য করতে পারি না। যারা অন্যকে নীচে টেনে নামায় তাদের পছন্দ করি না। ওর চরিত্রের কিছু ভাল দিকও রয়েছে। তবে খারাপ দিকও কম নেই। খারাপ দিকটা সামনে এলে অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।”

এই উইম্বলডনেও কিরিয়সের কীর্তি কম নেই। প্রথম রাউন্ডের ম্যাচেই এক দর্শককে থুতু ছেটানোর অপরাধে ১০ হাজার ডলার (প্রায় আট লাখ টাকা) জরিমানা হয়েছিল। ২০১৯-এ একটি প্রতিযোগিতায় আট বার নিয়ম ভাঙায় ১ লাখ ১৩ হাজার ডলার (প্রায় ৯০ লাখ টাকা) জরিমানা হয়। ২০১৬-এ শাংহাই মাস্টার্স থেকে নিয়মভাঙার কারণে বহিষ্কার করা হয়েছিল তাঁকে। কখনওই নিজেকে শোধরানোর চেষ্টা করেননি কিরিয়স। এ দিনও তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, বার বার আম্পায়ারের সঙ্গে ঝামেলা করেছেন। অন্তত তিন বার ইচ্ছাকৃত ভাবে চিচিপাসের শরীর লক্ষ্য করে বল মেরেছেন। চিচিপাস আবার দ্বিতীয় সেট হারানোর পর রাগের চোটে দর্শকাসনের দিকে সপাটে বল মারেন। সেটি কারওর গায়ে অবশ্য লাগেনি। দেওয়ালে ধাক্কা খেয়ে ফিরে আসে।

ম্যাচের পর স্বাভাবিক ভাবেই কিরিয়স সব অস্বীকার করেছেন। বলেছেন, “জানি না কী বলব। কী ভাবে ওকে কটাক্ষ করলাম সেটাই বুঝতে পারছি না। ও-ই তো দর্শকদের লক্ষ্য করে বল মারল। এমন কিছুই আজ করিনি যেটা অসম্মানজনক। ওর দিকে ইচ্ছাকৃত বল মারার কোনও চেষ্টাই করিনি। কেন ও এই অভিযোগ করল সেটাই বুঝতে পারছি না। আমি সত্যিকারের প্রতিযোগীর বিরুদ্ধে খেলতে ভালবাসি। অনেক বন্ধু রয়েছে আমার। অনেকেই আমাকে পছন্দ করে। ও যদি না করে তাতে আমার কোনও আপত্তি নেই।”

নিজের কর্মকাণ্ডের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন চিচিপাসও। বলেছেন, “এটা ঠিক যে আমি ওকেই মারতে চেয়েছিলাম। কিন্তু উল্টো দিকের মানুষ যদি নিষ্পৃহ থাকে, তা হলে আমি চুপ করে বসে থাকতে পারি না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE