তামিলনাড়ু ম্যাচ ভুলে যাও। খেলো প্রথম ম্যাচগুলোর মতো। যেখানে প্রতিপক্ষকে দাঁড়াতেই দেওয়া হয়নি।
বরোদার বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফি যুদ্ধের আটচল্লিশ ঘণ্টা আগে বাংলা টিমের থিম বলে যদি কিছু থাকে, তা হলে এটা। যেখানে নতুন করে সব শুরু করা আছে। তামিলনাড়ু ম্যাচের এক পয়েন্টকে নিছক ‘দুর্ঘটনা’ বলে অভিহিত করা আছে। আছে দীর্ঘ ভিডিও সেশন, বিপক্ষের প্রত্যেককে ধরে ধরে আলাদা স্ট্র্যাটেজি। এবং সব শেষে সুখবরও আছে। এক নয়, একজোড়া।
প্রথমটা ইউসুফ পাঠান। বাংলার বিরুদ্ধে যিনি নামছেন না। শনিবার সন্ধেয় বরোদা থেকে ফোনে ইউসুফ বলছিলেন, ‘‘আমি তিনটে ম্যাচ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছি। এখন পরিবারের সঙ্গে একটু সময় কাটাতে চাই। বাংলার বিরুদ্ধে তাই নামছি না।’’ সঙ্গে সিনিয়র পাঠানের সংযোজন, ‘‘এর পরে প্রচুর ম্যাচ আছে। সেগুলো সব খেলব। আইপিএলও আছে। তাই আপাতত একটু পরিবারকে সময় দিতে নিজেকে সরিয়ে নিলাম। টিম ম্যানেজমেন্টকে জানিয়েও দিয়েছি।’’
যা স্বস্তিদায়ক। সিনিয়র পাঠান নিজের দিনে কী করতে পারেন, আইপিএলে কেকেআরের প্রতিপক্ষরা খুব ভাল জানে। ইউসুফের না থাকাটা প্রথম সুখবর হলে, দ্বিতীয়টা সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। তামিলনাড়ু ম্যাচে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছিলেন সুদীপ। বঙ্গ ব্যাটসম্যান তার পর সেই চোট নিয়ে সেঞ্চুরিও করেন। ম্যাচ শেষে তাঁর এমআরআই হয়। যত দূর যা শোনা গেল, সুদীপকে বরোদা ম্যাচে পাওয়া নিয়ে বিশেষ সংশয় নেই। টিম মনে করছে, তিনি খেলে দিতে পারবেন। সুদীপ এ দিন টিমের প্র্যাকটিস সেশনে কিছুক্ষণ নকিংও করেছেন।
টিমেও বিশেষ বদল না হওয়ারই সম্ভাবনা। তবে হাতে আরও একটা দিন আছে। ম্যাচটা লাহলিতে হচ্ছে। উইকেট সেখানে যেমন থাকে, তেমনই। সবুজ। তবে তাতে বাংলার অসুবিধে হওয়ার কথা নয়। অশোক দিন্দা নেতৃত্বাধীন বাংলা পেস-ব্যাটারি যা করছে, তাতে সবুজ দেখলে বরং উল্লসিতই তাঁদের হওয়ার কথা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy