ক্লাবের নবতম আবিষ্কৃত প্রতিপক্ষকে ইস্টবেঙ্গল ‘মাঠে’-ই নামতে না দেওয়ার অভিনব সিদ্ধান্ত নিল!
“ফেড কাপ থেকে ইস্টবেঙ্গল বিদায় নিয়েছে সাংবাদিকদের কাছে হেরে” লাল-হলুদ ক্লাব সচিবের আবিষ্কারের আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যে ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে অচ্ছুত মিডিয়া!
ফুটবলার ও কোচের মুখ বন্ধ রাখার ফতোয়া জারি হল ইস্টবেঙ্গলে। শুধু তাই নয়, অনুশীলনেও সাংবাদিকদের জন্য দরজা বন্ধ লাল-হলুদে।
সোমবার থেকেই আই লিগের জন্য ডুডু-র্যান্টিদের অনুশীলন শুরু হচ্ছে। রবিবার বিকেলে ইস্টবেঙ্গলের তরফে সংবাদমাধ্যমের দফতরে পাঠানো ই-মেল পাঠিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই ক্লাবের অনুশীলনের সময় এখন থেকে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার থাকছে না। দলের কোচ বা ফুটবলারদের সঙ্গে কোনও কথা বলা যাবে না।
ক্লোজড ডোর অনুশীলন লাল-হলুদে নতুন নয়। সাম্প্রতিক অতীতেও সুভাষ ভৌমিক থেকে ট্রেভর মর্গ্যান ক্লোজড ডোর প্র্যাকটিস করিয়েছেন দলকে। কিন্তু সেখানেও অন্তত ফটোগ্রাফারদের জন্য দরজা বন্ধ থাকত না। এ বার আলোকচিত্রীরাও ঢোকার অধিকার হারাচ্ছেন ইস্টবেঙ্গল প্র্যাকটিসে। যদিও কারণ জানানো হয়নি ই-মেল বার্তায়।
ইস্টবেঙ্গলের এই ফতোয়ার পর স্বভাবতই ময়দানে জল্পনা, যে ভাবে ফেড কাপ থেকে একের পর এক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছেন লাল-হলুদ কোচ, তা এড়াতেই কি এই নিষেধাজ্ঞা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্লাবের কারও কারও মত, আর্মান্দোর উপর খাপ্পা ফুটবলারদের কেউ কেউ যদি অনুশীলনে কোচের উপর বিষোদ্গার করে বসেন, তা মিডিয়ার অগোচরে রাখার জন্য হয়তো এই কৌশল। ফুটবল সচিব সন্তোষ ভট্টাচার্য অবশ্য বলছেন, “এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। বিষয়টা ক্লাব সচিব বলতে পারবেন।” সহ-সচিব শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্ত যদিও বললেন, “ফেড কাপ অতীত। আপাতত আই লিগ নিয়ে মনঃসংযোগ করতে চাইছি আমরা। তাই ক্লোজড ডোর এবং কোচ-ফুটবলারদের মুখ বন্ধ রাখতে বলা।”
আই লিগে ইস্টবেঙ্গলের প্রথম ম্যাচ আবার সেই স্পোর্টিং ক্লুবের সঙ্গেই। ফেড কাপে যাদের বিরুদ্ধে ৩-১ এগিয়েও ৩-৪ হেরে ফিরতে হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলকে। নতুন লড়াই ১৮ জানুয়ারি। সেই গোয়াতেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy